কথা রাখলেন মমতা! শুক্রবার থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প
আপাতত পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রেশন ডিলাররা বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী ইশতেহারে কল্পতরু হয়ে উঠেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ইশতেহারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় প্রকল্প ছিল দুয়ারে রেশন প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার প্রত্যেক বঙ্গবাসীর বাড়িতে নিজ দায়িত্বে রেশন পৌঁছে দেবে। তার চেয়েও বড় বিষয় হল এই রেশন পরিষেবা রাজ্য সরকার দেবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। মমতা বন্দোপাধ্যায় একাধিক জনসভায় গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনে জিতে গেলে বিনামূল্যে দুয়ারে রেশন প্রকল্প শুরু করবেন। বাংলার মানুষ “বাংলার মেয়ের” উপর ভরসা করেই বিপুল মার্জিনে তৃণমূল কংগ্রেসকে জয়যুক্ত করিয়েছে। তাই কথামতো আগামী শুক্রবার থেকে রাজ্যে পরীক্ষামূলকভাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প শুরু হতে চলেছে।
আজ দুয়ারে রেশন প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের সচিবের সাথে ফুড কমিশনের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে স্থির হয় এবার করোনা প্রটোকল মেনে রাজ্য সরকার বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করবে। আপাতত পরীক্ষামূলক পর্যায়ে প্রতিটি জেলায় একটি করে রেশন দোকানের মাধ্যমে এই পরিষেবা শুরু করা হবে। এখন প্রকল্প চালানোর জন্য রেশন ডিলারদের প্রতি কুইন্টালে ২০০ টাকা করে কমিশন দেওয়া হবে। এছাড়াও প্যাকেজিং বাবদ বা অন্যান্য খরচ ডিলারদের দেবে রাজ্য সরকার। পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আপাতত প্রথম ১৫ দিন রেশন দোকান এই প্রকল্পের জিনিস সরবরাহ করবে।
তবে রাজ্য সরকার জানিয়েছে যে আপাতত ভৌগোলিক কারণে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এবং দুর্গম এলাকাগুলিতে এই পরিষেবা শুরু করা হচ্ছে না। অন্যান্য জায়গায় পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর রাজ্যজুড়ে দুয়ারে রেশন প্রকল্প জোর কদমে শুরু হয়ে যাবে। রাজ্য সরকার মনে করছে এই করোনা পরিস্থিতিতে যখন রাজ্য জুড়ে লকডাউন শুরু হয়েছে তখন বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে গেলে সাধারণ মানুষ অনেক বেশি খুশি হবেন। মমতা সরকার ইশতেহারে প্রকাশিত প্রত্যেকটি প্রতিশ্রুতি খুব তাড়াতাড়ি পূরণ করার প্রচেষ্টা করছে।