বছর তিনেক আগে রাস্তা হস্তান্তর করেছিল পূর্ত দফতর। এইবার সেই শান্তিনিকেতনের ডাকঘর মোড় থেকে কালিসায়র মোড় পর্যন্ত রাস্তার দায়িত্ব বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত থেকে ফিরিয়ে নিতে চলেছে তৃণমূল তথা মমতা সরকার। সেই মর্মে ইতিমধ্যে নির্দেশিকায় ছাড়পত্র দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো।
সোমবার বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানান, সকালে শান্তিকেতনের কয়েকজন আবাসিক তার বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাকে দিয়েছেন একটি চিঠিও। এই চিঠি পড়ে শুনিয়ে বলেন,”এতে তারা প্রধানত লিখেছেন যে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যত্রতত্র কুৎসিত উঁচু পাচিল নির্মাণ এবং পথ অবরোধ এবং তার ফলে শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক এবং স্থানীয় অধিবাসীবৃন্দের দুর্দশার কথা আমরা জানাচ্ছি। শান্তিনিকেতনে যাতায়াতের শতাব্দীপ্রাচীন রাস্তাটি যেটা পূর্ত দফতরের নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা, শিক্ষাভবনের মোড় থেকে কাঁচমন্দির পর্যন্ত সবধরনের মালবাহী গাড়ির চলাচল সবসময়ের জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে। আগে নিয়ন্ত্রণ ছিল সংগীত ভবনের মোড় থেকে কাঁচমন্দির পর্যন্ত সকাল ছয় টা থেকে সন্ধ্যা ছয় টা পর্যন্ত ছিল। জেলা শাসকের নিয়ন্ত্রণে ছিল সেটা।”
মুখ্যমন্ত্রী দাবি, কাকতালীয়ভাবে সোমবার বীরভূমে আসার আগে হ্যালিপ্যাডের সেই রাস্তা ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করা হয়েছিল। যে ফাইল পূর্ত দফতরের তরফে তাকে পাঠানো হয়েছিল। সেই ফাইল স্বাক্ষরের পরই তিনি চিঠি পড়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সাথে আইন অনুযায়ী মেনে দ্রুত বিশ্বভারতীর হাত থেকে সেই রাস্তা ফিরিয়ে নিতে উন্নয়নের কাজ করতে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নির্দেশ দেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানান,”রাস্তাটা আমরা আবার ফেরত নিয়ে নিচ্ছি। তাহলে আশ্রমের সমস্যাটা সমাধান হয়ে যাবে। এই অঞ্চলেই অমর্ত্য সেন, নন্দলাল বসুর বাড়ি এবং বাড়ি মেরামত করার জন্য কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়না।” সাথে মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষ করে বলেন, “বাদ বাকি লাইনটা ভদ্রতা করে আর পড়লাম না।” মমতার আমলেই সেই রাস্তাটা বিশ্বভারতীর শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আমন্ত্রণ জানানো জানানো নিয়ে চলেছিল চলছিল টানাপড়েন। তার সাথে মুখ্যমন্ত্রী দাড়িয়েছেন অমর্ত্য সেনের পাশেও।