‘জঙ্গী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক পাকিস্তান’, কড়া বার্তা ভারত ও আমেরিকার
২৬/১১ মুম্বাই হামলা, ভয়ঙ্কর সেই দিনটির কথা মনে করলে আজও আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন বহু মানুষ। ২০০৮ সালের ২৬ শে নভেম্বর মুম্বাইয়ের তাজ হোটেল সহ একাধিক স্থানে হামলা চালায় পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা। সেই হামলায় প্রাণ হারায় ছয় মার্কিন সহ ১৬৬ জন। এই হামলার সাথে যুক্ত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদি হাফিজ সঈদ। তার মাথার দাম ১ কোটি মার্কিন ডলার ঘোষণা করার পরও আজ পর্যন্ত এই জঙ্গির বিরুদ্ধে পাক সরকার কোনো পদক্ষেপ করেনি। সেই মুম্বাই হামলা এবং পাঠানকোট হামলার সঙ্গে যুক্ত যেসব জঙ্গিরা আজও পাকিস্থানে নিরাপদে আশ্রিত তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের বার্তা দিল ভারত ও মার্কিন সরকার।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে হওয়া ভারত ও আমেরিকার ২ + ২ বৈঠকে’ প্রথমে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়োর সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং তারপর মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এম্পারের সহিত বৈঠক হয় ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের। বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি প্রকাশ পায়।
বিবৃতিতে বলা হয় জঙ্গী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে সরকারকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে, আলকায়দা, আইএস, লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হাক্কানি নেটওয়ার্ক, হিজবুল মুজাহিদিন, তেহরিক-ই-তালিবানের মতো জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে এবং গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিম এবং তার ডি কোম্পানির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের তরফে বছরের শুরুতে জইশ-ই-মহম্মদ চাঁই মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার ঘটনাকে সমর্থন জানানোয় মার্কিন সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রাজনাথ সিংহরা। পাকিস্তান নাশকতামূলক হামলায় মদত জোগাচ্ছে বলে ভারত ও আফগানিস্তান বহুদিন ধরে যে অভিযোগ তুলেছে তা নিয়েও আলোচনা হয় এই বৈঠকে।