শ্রেয়া চ্যাটার্জী : মনের ইচ্ছা থাকলে কি না হওয়া যেতে পারে? ১৪ বছর জেল খাটার পর নিজের স্বপ্ন পুরন করলেন সুভাষ পাতিল। বই পড়তে ভালোবাসতেন, তাই জেলের খুপরির মধ্যেই চলত পড়াশুনা। ছোটবেলা থেকে ই ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হবেন, স্বপ্ন কে বাস্তবায়িত করলেন জেলে বসে।
১৯৯৭ সালে তিনি জয়েন্টে ভালো ফল করে এমবিবিএস এ ভর্তি হন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পড়াটা হয়নি, তিনি একটি অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তা হলেও তিনি তার মনের অদম্য ইচ্ছা কে কিন্তু নিভে যেতে দেননি। ২০০২ সালে একটি খুনের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরই শুরু হয় তার জীবনের ডাক্তার হওয়ার লড়াই। ঝাঁ-চকচকে ঘরে মা বাবার আদর পেয়ে তো অনেকেই ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হয়, কিন্তু কোন এক মুহূর্তের অন্যায় তে যার প্রায় ১৪ টা বছর কাটে হাজতের ওই খুপরি ঘরে, তার পক্ষে ডাক্তার হওয়াটা বোধ হয় অতটা সহজ ব্যাপার ছিল না। ২০১৬ সালে তিনি ভালো ব্যবহারের জন্য ছাড়া পান, তার পরেই তিনি এমবিবিএস পরীক্ষায় ভালো ভাবে পাশ করেন, সুভাষের বয়স তখন ৪০ বছর। ২০০৮ সালে তিনি টিবি রোগের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পুরস্কার পান। শুধু তাই নয় সাংবাদিকতা তেও তার ডিপ্লোমা আছে।
মানুষ চাইলে কিনা করতে পারে সত্যিই এর এক জ্বলন্ত উদাহরণ এই মানুষটি। একসময় অপরাধ করেছিলেন সেই অনুতাপ থেকে মনের জেদে তিনি আজ একজন সফল ডাক্তার। যারা একটুতেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন, তাদের কাছে সত্যিই এই মানুষটি একটি আদর্শ মানুষ হতেই পারেন। সফল হতে গেলে জীবনে চলার পথে কাঁটা আসবেই, কিন্তু সেই কাঁটা গুলিকে তুলে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে। আর এই মানসিক জেদ যদি থাকে তাহলে যে কেউ তার লক্ষ্যে পৌঁছাবে ।