নির্বাচনের আগে দুই দশটা বিধায়ক চলে গেলে বিশেষ কোনও ক্ষতিই হবে না। আমাদের দল চলে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে। বৃহস্পতিবার সোজা এই কথা জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
সম্প্রতি জননেতা শুভেন্দু অধিকারীর দল পরিবর্তনের কথার বিষয়ে চলছে রাজনৈতিক উথাল পাথাল। এই দিনই শাসক দল ছাড়ার ঘোষণা করেছেন আসানসোলের নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্কালে রাজ্যের শাসক শিবিরের এমন পরিস্থিতি নিয়ে অনেকটাই উল্লাসিত বিরোধী দল বিজেপি।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভাবনে বসে অভয় দিতে দেখা গেল বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এইদিন তিনি বলেন,” দুটো দশটা বিধায়ক নির্বাচনের আগে চলে গেলে দলের বিশেষ কোনও ক্ষতিই হবেনা।”
এইদিন বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন,”দলে আছেন হাজার হাজার কর্মী। রয়েছেন লক্ষ লক্ষ অনুগামী। আপনারা দেখতেই পারছেন তো, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় ভিড় করেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। আমাদের দল চলে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে। এত বড় দল, যদি আমি বাঁ অন্য কেউ না থাকি, তবে দলের ওপর বিশেষ কোনও প্রভাব পড়বেনা।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল বিধায়ক পদ ত্যাগ করেছেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আজ তিনি ছেড়ে দিয়েছেন জোড়াফুল শিবির। অনুমান করা হচ্ছে যে অমিত শাহ এর বাংলায় পা রাখার সাথে সাথেই গেরুয়া শিবিরে প্রবেশ করবেন নেতা। আগে তাকে দলে রাখার অনেক চেষ্টা করেছিল রাজ্যর শাসক শিবির। তাকে দলে রাখার দায়িত্ব গিয়েছিল সাংসদ সৌগত রায়ের কাঁধে। তবে কিছুতেই তাকে দলে রাখা সম্ভব হয়নি। শুভেন্দু জানিয়েছিলেন,তার পক্ষে সম্ভব না দলে থাকা। তখনই অনেকটা কেটেছিল ধোঁয়াশা। কিন্তু এইবার তার তৃণমূল ত্যাগের ফলে অনেকটাই ভেঙে পড়বে শাসক শিবির বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। সেই বিষয়েই এইদিন কথা বললেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।