Narada Case: “গান্ধীজী, নেতাজিও অপমানিত হয়েছিলেন, আমরা তো..”, জামিনের পর কি বললেন সুব্রত

গত ১৭ মে নারদ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূলের বর্তমান তিন বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। তার সাথে ছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এই গ্রেফতারের পর…

Avatar

By

গত ১৭ মে নারদ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূলের বর্তমান তিন বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। তার সাথে ছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এই গ্রেফতারের পর সকলেই সিবিআই এর কাজ কর্মের দিকে আঙ্গুল তুলতে শুরু করে। নারদ মামলার তদন্তের পিছনে রাজনৈতিক রঙ দেখতে শুরু করেন অনেকে। বিশ্লেষকদের অনেকে মতামত রাখেন, সিবিআই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সুবিধা করে দেওয়ার জন্য কাজ করছে। অন্যদিকে শুক্রবার এই মামলায় ৪ জন নেতার জামিন পাওয়ার পরে এটাকে সত্যের জয় বলে উল্লেখ করেছেন তৃণমূল নেতারা।

ঘনিষ্ঠ মহলে এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “গান্ধীজী, নেতাজিও অত্যাচারিত হয়েছিলেন, আমরাতো কোন ছাড়।” তবে এই জামিনের সিদ্ধান্তের পরে তৃণমূল শিবিরে এখন খুশির হাওয়া। সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “রাজনৈতিক লড়াইয়ে এই ভাবেই সত্যের জয় হয়ে থাকে। আগামী সময় ও তাই হবে। প্রথম থেকেই রাজনৈতিক লড়াই ছিল এইখানে। সত্য ঠিক বেরোবে।”

প্রসঙ্গত, ১৭ মে সকালে আচমকাই সিবিআই এর তরফ থেকে চারজন নেতা মন্ত্রী কে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এই চারজন নেতা মন্ত্রী হেফাজতে থাকলে তৃণমূল শিবিরের পক্ষে খুব একটা সুবিধাজনক বিষয় হতো না। পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা এবং কলকাতার প্রথম মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় কে আটক করে সিবিআই। তারপর জেলে নিয়ে যাওয়ার পর অসুস্থ বোধ করার কারণে সুব্রত, মদন এবং শোভনকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

তার পরে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ফিরে যখন আদালতের তরফ থেকে যখন গৃহবন্দির নির্দেশ দেওয়া হয়, তখন তারা একে একে বাড়ি ফেরেন। তার পর জামিনে নোটিশ পেয়ে বেশ কিছুটা খুশি চারজন নেতা। ২ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে এই চারজনকে। যদিও শর্ত রয়েছে, তারা সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না। যদিও জামিন খারিজ হলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।