গতকাল অর্থাৎ ২৮ শে আগস্ট ছিল রিয়ার সিবিআই জেরার দিন। রিয়া চক্রবর্তী সহ চারজনকে জেরা করে সিবিআই এদিন। এরইমধ্যে রিয়া অবশ্য একটি গণমাধ্যমে এসে তার নিজের স্বপক্ষে অনেক যুক্তি খাড়া করেন এবং সুশান্তের পরিবারকে অনেকাংশে দ্বায়ী করেন।
১৩ জুন থেকে ১৪ জুন সকাল পর্যন্ত সুশান্তের ফ্ল্যাটে কী ঘটেছিল? কে বা কারা কারা সেদিন বা তার আগের দিন রাতে সেখানে ছিলেন? ৮ জুন কেন সুশান্তকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন রিয়া? সুশান্তের মানসিক অবসাদের কথা কীভাবে জানতে পারলেন তিনি? এই সকল বিষয়ে বিস্তারিতভাবে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রয়োজনে রিয়াকে আবারও জেরা করতে পারে সিবিআই ও এনসিবি।
তবে এরই মাঝে উঠে এলো সারা-সুশান্তের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে।রিয়া দাবি করেন যে ২০১৮ সালে ৬ বন্ধুকে নিয়ে থাইল্যান্ড, ব্যাঙ্ককে গিয়েছিলেন সুশান্ত। প্রাইভেট উড়ান ভাড়া করে ওই সময় থাইল্যান্ডে যান সুশান্ত। ৬ বন্ধুর সঙ্গে থাইল্যান্ড ভ্রমণে গিয়ে সুশান্তের খরচ হয়েছিল প্রায় ৭০ লক্ষ। সেইসময় শুধুমাত্র সঙ্গী ছিল সারা আলি খান। কেদারনাথ মুভি চলাকালীন সারার সঙ্গে সুশান্তের ঘনিষ্ঠতা তৈরী হয়।
এব্যাপারে সুশান্তের এক প্রাক্তন সহযোগী সাবির জানান, ২০১৮ সালে ব্যাঙ্কক ঘুরতে যান সুশান্ত ও তাঁর ছয় বন্ধু, সঙ্গে ছিলেন শুধুমাত্র সারা আলি খান। সেখানে গিয়েও টানা তিনদিন সুশান্ত-সারা ঘরবন্দী ছিলেন। ব্যাঙ্কক ও সুনামির সতর্কতা জারি হওয়ার পর সবাই ফিরে এলেও রয়ে যান সারা-সুশান্ত। সাবিরের এমন বক্তব্য উস্কে দিচ্ছে সুশান্তের ব্যক্তিগত জীবনের কাঠামোকে। প্রসঙ্গত অঙ্কিতা লোখান্ডওয়ালের সঙ্গে দীর্ঘ ৬ বছরের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন সুশান্ত। সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। মাঝে কৃতি শ্যাননের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতার সম্পর্ক প্রকাশ পায়, এরপর সংযোগ হয় সারা আলি খানের নাম এবং সর্বশেষ নাম হলো রিয়া চক্রবর্তী। যার সঙ্গে লিভ ইন করতেন সুশান্ত সিং রাজপূত।