রহস্যে নয়া মোড়, সুশান্তের মৃত্যুর দিন আনা হয় দুটি অ্যাম্বুলেন্স, কী জানালেন গাড়ির চালক

১৪ই জুনের পর থেকে সুশান্ত মৃত্যু তদন্ত নিয়ে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। বিশেষত সিবিআই-এর হাতে যেদিন থেকে এই কেস ট্রান্সফার হয় তবে থেকেই বিস্ফোরক তথ্য ও নাটকীয় ঘটনাকে সঙ্গী করে এই তদন্ত এগোচ্ছে। সিবিআই, ইডি এবং নার্কোটিক্স ডিপার্টমেন্ট একযোগে এখন এই মামলার তদন্ত করছে।

এরমধ্যে হঠাৎই উঠে এসেছিল চাঞ্চল্যকর একটি তথ্য। বিগত ১৪ই জুন সুশান্তের ফ্ল্যাটের নিচে দেখা যায় দুটি অ্যাম্বুলেন্স। একটি মৃতদেহ নিয়ে যাবার জন্য দুটি অ্যাম্বুলেন্স কেন? তদন্তে জানা যায়, প্রথম অ্যাম্বুলেন্সের ট্রলির চাকা ভেঙে গিয়েছিল। তাই তার বদলে আরেকটি আম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে আসে এবং সুশান্তের দেহ কুপার হাসপাতালে নিয়ে যায়।

যদিও এই কথা স্বীকার করেন প্রথম অ্যাম্বুলেন্সের চালক। এরপর দ্বিতীয় অ্যাম্বুলেন্সের চালক বলেন, তিনি নিজে সুশান্তের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। এইব্যাপারে, বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো যে এই চালকদের কাছে বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়ে ফোন আসে। তাই অনেকের ধারণা হয়তো অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে এমন কিছু ঘটেছিলো যা সুশান্তকে সম্পূর্ণ মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।

প্রসঙ্গত, সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সন্দীপ সিংহের উপর সন্দেহের তির ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠছে। সূত্র্রের খবর অনুযায়ী, গত দু’মাসে বিজেপি মুম্বইয়ের অফিসে কমপক্ষে ৫৩ বার ফোন করেছেন সন্দীপ। এতবার ফোন করা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। সুশান্তের মৃত্যুতে মোদীর বায়োপিক নির্মাতা সন্দীপের বিজেপি যোগ রয়েছে কিনা, গত কালই তা খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জীবন নিয়ে ছবি করেছেন সন্দীপ সিংহ। বিজেপির সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক, তা খতিয়ে দেখুক সিবিআই। একই সঙ্গে বলিউডের মাদক যোগ নিয়েও তদন্ত হোক। এ ব্যাপারে অনেক অভিযোগ পেয়েছি আমরা। সিবিআইকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করব।’’