এবারে নন্দীগ্রামের ভোটার হলেন ‘গ্রামের ছেলে’ শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়ে গেছে, তিনি প্রার্থী হতে চলেছেন বিজেপি টিকিটে। তার বিরোধিতা করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারে নন্দীগ্রাম আসন অত্যন্ত হাইপ্রোফাইল হতে চলেছে। নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এতদিন পর্যন্ত ছিলেন হলদিয়ার ভোটার। আর এবারে সরাসরি করে ফেললেন নিজের ভোট কেন্দ্র পরিবর্তন। এবারে নন্দীগ্রামের নন্দনায়কবার প্রাইমারি স্কুল হতে চলেছে তার ভোট গ্রহণ কেন্দ্র। এর আগেও শুভেন্দু অধিকারী ভূমিপুত্র স্লোগান নিয়ে মাঠে নেমেছেন বহুবার। আর নিজেকে সত্তিকারের ভূমিপুত্র প্রমাণ করার জন্য এবারে নন্দীগ্রামে ভোট দেবেন শুভেন্দু।
উল্লেখ্য, আজকেই নন্দীগ্রামে বিধানসভা আসনের বিজেপির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এর আগেও শুভেন্দু অধিকারী বারংবার এই বহিরাগত তথ্য নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে খোঁচা দিয়ে এসেছেন। নন্দীগ্রামের মহাযুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারী যখন বারংবার ভূমিপুত্র চাল খেলে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, ঠিক তখন নন্দীগ্রামের আবেগ নিয়ে একটি মোক্ষম চাল দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
শুভেন্দু অধিকারী বারংবার বলেছেন তিনি নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র। এবারে নন্দীগ্রামে পা দিয়ে হলদি নদীর পাড়ে জনপদে পুরনো সম্পর্কের কথা তুলে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বললেন, “ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গায়ে বারংবার বহিরাগত তকমা দিয়ে চলেছে শুভেন্দু অধিকারী এবং তার কর্মীসমর্থকরা। তাই বহিরাগত তকমা ঘোচাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রতিক্রিয়া।
এতদিন ধরে শুভেন্দু অধিকারী বলে আসছিলেন, “এনারা বহিরাগত, এনাদেরকে একটা ভোটও দেবেন না।” তারই প্রেক্ষিতে মমতা বললেন, “আমাকে বহিরাগত বলছেন! যারা গুজরাট থেকে আসছে, যারা রাজস্থান থেকে আসছে তারা বাংলার লোক হয়ে গেল?” আক্রমণ প্রতিআক্রমণ এর পালা চলতেই থাকছে। তারই মধ্যে নন্দীগ্রামে গিয়ে পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন মমতা। বর্তমানে তিনি ভর্তি এসএসকেএম হাসপাতালে উড বার্ন ইউনিটের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে। সেই মুহূর্তেই নন্দীগ্রামের ভোটার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।