একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে বাংলায়। গত শনিবার রাজ্যের ৫ টি জেলায় ৩০ টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রথম দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম দফা নির্বাচনে মোটামুটি সুষ্ঠভাবে হলেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনৈতিক হিংসার ছবি বারংবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। এরপর দ্বিতীয় দফার নির্বাচন আর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই। ১ লা এপ্রিল দ্বিতীয় দফা নির্বাচন মোট ৪ টি জেলায় ৩০ টি বিধানসভা কেন্দ্রে হবে। এই দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম সহ পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে হবে। কিন্তু তার মধ্যে সবচেয়ে হাইভোল্টেজ লড়াই হতে চলেছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ১ লা এপ্রিল নির্বাচনের আগে মমতা শুভেন্দু নন্দীগ্রামে বর্তমানে প্রচারে ঝড় তুলছেন।
আর কিছু ঘণ্টা বাদেই নন্দীগ্রামে নির্বাচন। সেই জন্যই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নেওয়ার জন্য মমতার শুভেন্দু নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে জনসভা করছেন। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী জনসভা করেন এবং সেখান থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে গলার সুর তোলেন। তিনি রাজ্যের শিল্প পরিস্থিতিকে কাঠগড়ায় তুলে উপস্থিত জনতার সামনে হুংকার দিয়ে বলেছেন, “গত ১০ বছরে মমতা কি শিল্প রাজ্যে করেছে তার কি হিসাব দিতে পারবে? একটা শিল্পের নাম কি কেউ বলতে পারবেন? যদি বলেন এতদিনে মমতা শুধু চপশিল্প গড়েছে। কিন্তু বিজেপি বাংলার ক্ষমতায় এলে শিল্পের জোয়ার আসবে।”
সেইসাথে তিনি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের খতিয়ানের বিদ্রুপ করে বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে বলতেন যে তিনি রাজ্যের দেড় কোটি বেকার যুবক যুবতীর চাকরি দিয়েছে। কিন্তু যখন থেকে ওনাকে তালিকা প্রকাশের কথা বলা হয়েছে তখন থেকে চুপ করে গেছেন। উনি আসলে কিছুই করেননি। চাকরি দিয়েছেন যার মাসিক মাইনে দেড় হাজার থেকে দু হাজার টাকা। সিভিক পুলিশরা মাসে আট হাজার টাকা মাইনে পায়। এত কম বেতনে কারোর সংসার চলে।”