এখনো বেশ থমথমে পরিস্থিতি শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) সহায়ক কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। সোমবার নন্দীগ্রামে বিজেপি নেতারা মৌন মিছিল করে এসেছেন। নাম না করে তৃণমূল কে উদ্দেশ্য করে তারা বলেছেন, তারা প্রাণহানির ভয় পান না। শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ নেতা কনিষ্ক পন্ডা (Kanishka Panda) রবিবার জানিয়েছিলেন,”শুভেন্দু অধিকারী সহায়তা কেন্দ্র ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন সরব হয়েছিল বিজেপি। তারা ওই ঘটনার প্রতিবাদে মৌন মিছিল করেছে। পাশাপাশি একটি সিসিটিভি ফুটেজ তাদের কাছে রয়েছে বলে দাবি করেছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস ঘটনার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে এদিন মিছিলের পর সভা থেকে কে সহায়তা কেন্দ্র ভেঙেছেন তা স্পষ্ট করলেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর অভিযোগ, ওই সিসিটিভি ফুটেজ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। ভাংচুরের ঘটনা নিয়ে এফআইআর করা হয়েছে বলেও তার দাবি।
শুভেন্দু নিজেই জানিয়েছেন, এবার বেশ কিছুদিনের জন্য ওই সহায়তা কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু বলেছেন,”আমি অফিসটা বন্ধ রাখছি এখন। যারা পাঁচটা পয়সা দেয় না, পাঁচতলা ছ’তলা বাড়িতে থাকে, গুষ্টিসুদ্ধ চাকরি নিয়েছে, মাছের ভেড়ি ও খাসজমি দখল করেছে, তারাই এই সব করেছে। তারাই আজকে এই সমস্ত ঘটনা ঘটাচ্ছে। আপনারা এই সবে ভয় পাবেন না।”
শুভেন্দু আরো বলেছেন,” শুভেন্দু অধিকারী দল বদল করায় বারবার তার ওপর হামলা হচ্ছে। তবে এভাবে তাকে ভয় পাওয়ানো যাবে না। মৃত্যু একবার হবে, দুবার না, ভয় করিনা।” এর আগেও একাধিকবার শুভেন্দু অধিকারী তার নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে নন্দীগ্রামের সহায়তা কেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনায় যেন সেই অভিযোগ একেবারে প্রমাণ হয়ে গেল। অন্যদিকে শুভেন্দুর দাবি নির্বাচন বিধি চালু হলে অত্যাচার বন্ধ হবে। তার কথায়,’ কেন্দ্রের আধাসামরিক বাহিনী আর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী বিধি চালু করবেন। ওরা বলছে নন্দীগ্রাম আন্দোলন নাকি আমার নিজের আন্দোলন আমি বলেছি। আপনারা শুনে রাখুন, এটা নন্দীগ্রামের মানুষের আন্দোলন।” তবে এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে এই বিষয়ে কোন মন্তব্য শুনতে পাওয়া যায়নি।