কেটেও কাটলো না জট। আবারো সংবাদের শিরোনামে উঠে এলেন সেই শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর সমস্ত দাবি-দাওয়া নিয়ে সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন শুভেন্দু। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেন্দু কে ফোন করে তার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছিলেন। কিন্তু তারপরেই দুপুরে আবার ঘটল ছন্দপতন। শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা যাচ্ছে, সাংসদ সৌগত রায়কে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে, তার পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয়। কিন্তু এমন কেন হলো হঠাৎ?
শুভেন্দু অধিকারী আরো মেসেজ করে লিখেছেন, “আমাকে মাফ করবেন। আমার পক্ষে কাজ করা মুশকিল। আমার বক্তব্যের এখনো সমাধান করা হয়নি। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সব কিছু জানানোর কথা ছিল। তার আগেই আপনারা প্রেসকে সব জানিয়ে দিলেন। ফলে আমার পক্ষে এই ভাবে কাজ করা সম্ভব নয়। আমাকে মাফ করবেন।”
তিনি আরো জানিয়েছেন,”বক্তব্য সমাধান না করে আমার উপর সব কিছু চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমার বক্তব্যের এখনো কোনো সমাধান করা হয়নি।” ফলে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের আবারও নতুন করে জটিলতা তৈরি হলো। শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, ৬ তারিখে সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু সমস্ত পদক্ষেপ জানানোর কথা ছিল। শুভেন্দু অধিকারীর মা বাড়িতে অসুস্থ থাকার কারণে তিনি বৈঠকের পরেই কাথি ফিরে গিয়েছেন। গতকাল বৈঠকের পর থেকে তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য শোনা গিয়েছিল। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীর বক্তব্য আমরা জানতে পেরেছিলাম। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর নিজের বক্তব্য কখনো সামনে আসেনি।
তার মতামত ছিল, ৬ ডিসেম্বর সাংবাদিক বৈঠক করে তার সমস্ত মতামত জানানো। কিন্তু তার আগেই তৃণমূলের তরফে প্রেস কে সব কিছু জানিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূল তরফে মনে করা হচ্ছিল, শুভেন্দু অধিকারী দলে থাকবেন। তৃণমূলের তরফে মনে করা হচ্ছিল শুভেন্দু বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত শুভেন্দুর উপরে কার্যত চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছিল তৃণমূলের তরফে। গতকাল শ্যামপুকুরের ফ্ল্যাটে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তৃণমূলের তরফে সমস্ত ইতিবাচক মন্তব্যগুলি করা হয়। কিন্তু এটি পরবর্তীকালে হয়ে ওঠে শুভেন্দুর অসন্তোষের কারণ। এবং তারপরেই আজ দুপুরে শুভেন্দু অধিকারী সৌগত রায়কে হোয়াটসঅ্যাপ করে জানিয়েছেন, তার পক্ষে একসাথে কাজ করা সম্ভব নয়।