কলকাতা: আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর ঠিক তার আগে তৃণমূল-কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। গত বেশ কয়েকদিন ধরে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে অনেক জল্পনা-কল্পনা দেখা দিয়েছিল। এমনকি দাদার ব্যানারে প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। এ কারণে ফিরহাদ হাকিমের কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। পরবর্তী সময়ে তিনি ঘাসফুল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু তারপরেই তিনি যে বিজেপিতে যোগ দেবেন এমনটা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছিল না। তবে এবার সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপিতেই শুভেন্দু অধিকারী আগামী শনিবার যোগ দিতে চলেছেন। এমনটাই ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে।
শুভেন্দু তৃণমূলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ত্যাগ করছেন ধাপে ধাপে। গত ২৫ নভেম্বর তিনি প্রথমে ইস্তফা দেন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে। ২০১১ সাল থেকে এই পদে বহাল ছিলেন শুভেন্দু। এর দুদিন পরেই ছাড়েন মন্ত্রীত্ব। ইস্তফাপত্র যায় কালীঘাটে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে, কারণ স্যানেটাইজেশনের জন্য সেই দিন নবান্নর দ্বার বন্ধ ছিল। ধাপে ধাপে প্রশাসনিক পদগুলি থেকে সরে দাঁড়ালেও শুভেন্দু তাঁর বিধায়ক পদটি ছাড়েননি। তবে শনিবারের আগে সেই পথটি তিনি ছাড়তে চলেছেন। কারণ, তা না হলে তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারবেন না। তাই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি এবং সেই ইস্তফাপত্র স্পিকার গ্রহণ করার পরই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী।
একুশের ভোটের আগে তৃণমূল-কংগ্রেসের কাছে এটা একটা জোর ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেয়ার ঘটনাও একুশের ভোটের আগে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ এবং গেরুয়া শিবিরের কাছে যথেষ্ট অ্যাডভান্টেজের বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।