তাহলে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কি শুধুই সময়ের অপেক্ষা? পূর্ব মেদিনীপুরের কাথিতে এইবার দেওয়ালে গেরুয়া রঙের ওপর দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার। গেরুয়া রঙের দেওয়ালের ওপরে সহায়তা কেন্দ্র খুললেন তার অনুগামীরা। এইদিন গেরুয়া রঙের পাঞ্জাবিতে দেখা গেল কনিষ্ক পণ্ডাকেও। এইদিন তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি তৃণমূল নেতা কনিষ্ক পণ্ডা। এই গেরুয়া রঙ নিয়ে এখন গভীর জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। তবে কি আর কিছুদিন? দল কি সত্যিই ছাড়ছেন শুভেন্দু। তবে এই বিষয়ে কিছুই বলেননি শুভেন্দু অধিকারী নিজে।
ছিল তৃণমূলের পরিচালিত ব্যবসায়ী সমিতির অফিস, পালটে গেল শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তা কেন্দ্রে। শুভেন্দুর খাসতালুক পূর্ব মেদিনীপুরের এই সহায়তা কেন্দ্রের রঙ আবার গেরুয়া। দলের ভিতর বরাবরই শুভেন্দুর অনেকটাই ঘনিষ্ঠ ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক কনিষ্ক পণ্ডা। এই দিন তাকে দেখা গেল গেরুয়া সাজে। এইদিন গেরুয়া রঙের পাঞ্জাবি পড়ে কনিষ্ক পণ্ডা বলেন,” যতদিন না নবান্ন থেকে মমতা সরকার সরছে, ততদিন পর্যন্ত দাদার এই সহায়তা কেন্দ্র চলবে। দিদি আপনি রেডি হোন। মেদিনীপুরের গামছা পরা এই ছেলেটা লড়বে আপনার বিরুদ্ধে। এইদিন নড্ডা আক্রমণের প্রসঙ্গেও কথা বলেন পণ্ডা। তার বক্তব্য,”বাংলায় যেভাবে জেপি নড্ডার কনভয় হামলার মুখে পড়ল, তা খুবই লজ্জার।” তাহলে কি বিজেপিতেই যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী? তবে এখনও তিনি কিছুই বলেননি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গোটা বাংলা জুড়ে চলছে ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। সেখানে পাল্টা কর্মসূচি নিয়েছেন শুভেন্দু অনুগামীরাও। এই বিষয় আর সীমাবদ্ধ নেই পোষ্টারে। তার সহায়তা কেন্দ্র নেই দলের একটিও পতাকা, নেই দলনেত্রীর ছবি। গেরুয়া রঙ কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে? এই নিয়ে গভীর জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে।