একুশে নির্বাচনের আগে যত দিন এগিয়ে আসছে ততই বাকবিতণ্ডায় জড়াচ্ছে তৃণমূল বিজেপি। তৃণমূল বিদ্রোহী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তিনি যেমন একদিকে নিজের তার ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে দলের বিরুদ্ধে ঠিক তেমনি শাসকদল তাকে পাল্টা দিতে ছাড়ছে না। কিছুদিন আগে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) তাকে “উপসর্গহীন করোনাভাইরাস আক্রান্ত” বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এবার তার পাল্টা জবাব দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। তিনি নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে, “তৃণমূল প্রাইভেট কোম্পানির ক্যান্সার” হিসাবে বিদ্রুপ করলেন।
আজ অর্থাৎ রবিবার কাঁথির ঢোলামারি বাজার থেকে মুকুন্দপুর পর্যন্ত রোড শো করেছিলেন নবাগত বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই রোড শোতে এক প্রকার জনসমুদ্র ভেসেছিল বলে দাবি করেছে বিজেপি। আর সেই রোড শো থেকেই আজকে শুভেন্দু অধিকারী শাসকদলের বিরুদ্ধে কটাক্ষবান ছোড়ে। তিনি আক্রমণ করে বলেন, “যাতে আজকে আমার রোড শোতে ভিড় কম হয় তাই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের আটকানোর চেষ্টা করেছে তৃণমূল। কিন্তু কোন লাভ করতে পারেনি। চারটি অঞ্চল থেকে আমার রোড শোতে মানুষ হিসেবে ভিড় করেছে।” এছাড়া আগামী বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া পতাকা নির্বাচিত হবে বলে তিনি দৃঢ়তার সাথে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে তিনি “তোলাবাজ ভাইপোর” বিরুদ্ধে আজ প্রবল বিদ্রুপ করেন। তিনি বলেন, “ওরা বলছে শুভেন্দু অধিকারী উপসর্গহীন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। আরে উপসর্গহীন হলে মানুষ মরে না বেঁচে যায়। আর তুমি তো তৃণমূল প্রাইভেট কোম্পানির ক্যান্সার। পচন ধরা শুরু হয়ে গিয়েছে। একদম মাথা থেকে শুরু হয়েছে। বাঁচার আর কোনো উপায় নেই। পা হলে তাও কেটে বাদ দিয়ে দেয়া যেত। হাত হলেও কেটে বাদ দেয়া যেত। কিন্তু মাথা কি করে কাটবে। মাথায় পচন ধরেছে।”
সেই সাথে আজ শুভেন্দু অধিকারীকে অনেকটা দিলীপ ঘোষের ধাঁচে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, “রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর দলদাস ক্রীতদাস পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে।” প্রসঙ্গত গত ২৮ ডিসেম্বর ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে শুভেন্দুকে আক্রমণ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিল, “শুভেন্দু অনেকদিন আগে ২০১৪ সাল থেকে অমিত শাহের সাথে যোগাযোগ রেখেছে। ও একটা উপসর্গহীন করোনাভাইরাস আক্রান্ত। আমাদের দলে আরো কিছু উপসর্গহীন বেইমান আছে। ওই বেইমানগুলকে আমরা চিহ্নিত করেছি।”