একুশে নির্বাচনের আগে কোন রাজনৈতিক দল বা অন্য রাজনৈতিক দলকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে প্রস্তুত না। এরমধ্যে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকে একাধিক ইস্যু নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে যাচ্ছেন। এছাড়া এখন বিধানসভা নির্বাচনে একদম দোরগোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। এই মুহূর্তে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী বারংবার শাসক দলকে তুলোধোনা করে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বক্তব্য রাখছেন। আজ মঙ্গলবার সরস্বতী পুজোর দিনে শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করতে দেখা গেল।
সরস্বতী পুজোর দিনে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের একাধিক জায়গায় সরস্বতী পুজোর উদ্বোধন করেছেন। তিনি সেখান থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তিনি সরাসরি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, “শাসকদল থাকলে পশ্চিমবঙ্গে আগামীকালে কপালে চন্দন, গলায় কণ্ঠি বা পরনে ধুতি পরতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে।” এছাড়াও তিনি এক পূজামণ্ডপের উদ্বোধনে গিয়ে বলেছেন, “সনাতন সংস্কৃতি রক্ষা করার জন্য আমরা কাজ করব। পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজার অনুমতি নিয়ে হাইকোর্টে যেতে হয়। বিসর্জন বন্ধ করে দেওয়া হয়। উলুবেড়িয়া তে সরস্বতী পুজো বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। যে জন্য রাস্তায় নেমে মার খেয়েছে অনেক ছাত্র-ছাত্রী। বাংলায় সনাতন সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দেয়ার চেষ্টা চলছে।”
প্রসঙ্গত, গেরুয়া শিবিরে যোগদান করার পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিকবার মুসলিম তোষণের অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন। এবারও একই পথে হাঁটলেন তিনি। বিশেষ করে আজ বাঙ্গালীদের পুজোর দিন একাধিকবার একই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। পুজোর মন্ডপে হামলাকারীদের তিনি জিহাদী বলে আখ্যা দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি এ দাবি করেছেন যে ৩০ শতাংশ কে নিয়ে ভোটে লড়বেন তৃণমূল। আসলে বঙ্গ রাজনীতিবিদদের মতে শুভেন্দু অধিকারী ভোট প্রাক্কালে বাংলার মানুষকে তৃণমূল বিরোধী করে নেয়ার জন্য বাঙালির আবেগ সংস্কৃতি প্রসঙ্গে তৃণমূলকে তুলোধোনা করছেন।