মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেবেন শুভেন্দু অধিকারী এবং সুনীল মণ্ডল। তার আগে দিল্লি যাবার পরিকল্পনা বাতিল করলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু জানিয়েছেন, “আমরা দুইভাই একসঙ্গে কাজ করব। বাংলায় গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের জন্য কাজ করব। প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করব। ” একটি বৈঠকে এই রকম মন্তব্য করতে শোনা গেল সুভেন্দু কে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুনীল মণ্ডল।
প্রসঙ্গত গতকাল দলীয় নেতৃত্ব কে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল। বিধানসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই তিনি সরাসরি পৌঁছে যান শুভেন্দুর বাড়িতে। সেখানে গিয়ে তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে আগামী কর্মসূচি ঠিক করেন দুজনে। সূত্রের খবর আগামী ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহ এর হাত থেকে বিজেপির ব্যাটন গ্রহণ করবেন শুভেন্দু।
বুধবার সকালে ফের একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সুনীল মন্ডল। তিনি বললেন,” দিদি যেটা বলছেন সেটা হচ্ছে না। প্রকাশ্যে বিধায়ককে ধমক দিলেন অরূপ বিশ্বাস। অন্য দিকে তাকে আরো ভালো পদ দেওয়া হচ্ছে। দলে যারা তোলাবাজি করে, তাদের ভালো পদ দেওয়া হয়।” অন্যদিকে তিনি তৃণমূলের নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের টিমের কথা উল্লেখ করে বলেন, ওই টিমের কথা তিনি শুনবেন না। আবার এই প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতৃত্বের বলেছে,”একটা বাচ্চা ছেলে এসে বলছে মিছিল করতে হবে। বেতনভুক্ত কর্মচারী কথা শুনে মিটিং করতে হচ্ছে। এটা শোভনীয় না। ভাড়াটে সৈন্য দিয়ে যুদ্ধ জয় করা অসম্ভব।”
তার মধ্যে আবারও সুনীল এবং শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার নিয়ে জল্পনা তীব্র হয়েছে। বুধবার সকালে পোস্টার দেখা গিয়েছে কাঁকসা থানার সামনে এবং সংসদের বাড়ির আশেপাশে। এই প্রতিক্রিয়াতে সুনীল মণ্ডল বলেছেন,”এসব মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ।” প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে গলসি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন সুনীল। পরবর্তীতে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর ২০১৪ লোকসভা কেন্দ্র থেকে পূর্ব বর্ধমানের প্রার্থী হিসেবে যোগ দেন সুনীল মণ্ডল। ২০১৯ সালেও তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে তিনি পূর্ব বর্ধমান থেকে জয়ী হয়েছেন।