শ্রেয়া চ্যাটার্জী : মেঘনা শাহ এবং রাণী কিন্নার এনারা দুজনেই ক্যাব ড্রাইভার এবং ট্রান্সজেন্ডার। মেঘনা ভুবনেশ্বরে প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের ক্যাব চালক। রানী ট্রেনগুলোতে ভিক্ষা করতেন, পরে অবশ্য জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন অটোরিকশা। কিন্তু পরবর্তীকালে এই দুইজন মহিলাই পরিবহন পরিষেবাগুলিতে নিজেদেরকে যুক্ত করেছেন এবং তার সাথে সাথে মহিলাদের নিরাপত্তা কেউ সুনিশ্চিত করছেন। অতীতে এমন অনেক ঘটনাই ঘটেছে, যেখানে ক্যাব চালকদের দ্বারা যাত্রীরা নিগৃহীত এবং ধর্ষিত হয়েছে। এমনিতেও রাত্রের অন্ধকারে আমরা ক্যাব গুলিতে নিরাপত্তা অনুভব করিনা।
২০১৪ সালে ২৭ বছর বয়সী একজন মহিলাকে ধর্ষণ করার উদাহরণ আমরা পাই। এই অভিযোগে সেই উবের চালককে গ্রেফতার করা হয়। বেঙ্গালুরু তেমনি একটি বেদনাদায়ক ঘটনা আমরা প্রত্যেকেই জানি। দিল্লিতে দ্বিতীয় বর্ষের জেএনইউ এর শিক্ষার্থী তার বন্ধুর বাড়ি থেকে ফিরে যাওয়ার সময় একটি ক্যাবচালক তাকে ধর্ষন করেছিল, এমন ঘটনা ও আমাদের অজানা নয়।
এইসব জঘন্য ঘটনাকে মাথায় রেখেই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ক্যাবগুলির চালক হিসাবে গ্রহণ করা হচ্ছে। মহিলারা পুরুষ চালকদের থেকে এই তৃতীয় লিঙ্গের চালকদের কাছে অনেকটাই নিরাপদ বোধ করছেন। তবে এইভাবে ক্যাবের চালক হওয়াটা খুব একটা সহজ ছিল না। সমাজের কাছে তিনি খুব বেশি সমর্থন ও গ্রহণযোগ্যতা প্রথমে পাননি। শুধুমাত্র মনের জোরেই তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল থেকেছেন এবং পরে তিনি স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে একটি নিজের গাড়ি কেনেন।