১২ কোটি কৃষকের ভাগ্য খুলতে চলেছে খুব শীঘ্রই, সরকার দেবে প্রত্যেকের একাউন্টে ২০০০ টাকা
প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনার অন্তর্গত এই টাকা খুব শীঘ্রই কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে আসতে চলেছে
কেন্দ্রের মোদি সরকার এবারে ১২ কোটি ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের একাউন্ট খোলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। আজকের দিনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সবারই প্রয়োজন। কৃষকদের কাছেও ব্যাংক একাউন্ট থাকাটা বাধ্যতামূলক। তাই এখন সরকার শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী কৃষাণ সম্মাননিধি যোজনা পরবর্তী অর্থাৎ ১৫ তম কিস্তির জন্য ২০০০ টাকা স্থানান্তর করতে চলেছে কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে। যারা এখনো পর্যন্ত আবেদন করেননি তারাও এবারে আবেদন করার সুযোগ পেয়ে যাবেন। এমনটা হলে এ বছর কৃষকদের জন্য এটা বুস্টার ডোজ হতে চলেছে।
ইতিমধ্যেই কৃষকদের একাউন্টে ২০০০ টাকার চৌদ্দটি কিস্তি জমা পড়েছে। অর্থাৎ সবমিলিয়ে কৃষকরা এখনো পর্যন্ত ২৮ হাজার টাকা পেয়ে গিয়েছেন। প্রত্যেকেই পরবর্তী পরিমানের আপডেটের জন্য অপেক্ষা করছেন। আপনার নাম যদি প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মাননিধি যোজনা সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে আগে থেকে কিছু কাজ আপনাকে সেরে ফেলতে হবে, নতুবা আপনার টাকা আটকে যেতে পারে। তাই যাতে কৃষকদের কোন ভোগান্তি না হয় তার জন্য আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চলেছি এই প্রকল্পের ব্যাপারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
যদি আপনি এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চান তাহলে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আগে থেকে জেনে নিতে হবে। প্রথমত ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের আগে থেকে ই-কেওয়াইসি করে রাখতে হবে নিজের একাউন্টে। শুধু তাই নয় আপনার একাউন্টে আধার কার্ড লিঙ্ক না করলে আপনার টাকা বন্ধ হয়ে যাবে। জমি যাচাই বাছাই করা সময়মত উচিত কারণ এটি না করলে কিস্তির পরিমাণ আটকে যেতে পারে। সরকার যখন ২০০০ টাকার চোদ্দটি কিস্তি পাঠিয়েছিল তখন অসম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া কৃষকদের টাকা দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে যদিও তাদের একাউন্টে টাকা পৌঁছেছে। তবে সেই সময় প্রায় ৩.৫ কোটি কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠায়নি মোদি সরকার। এরপর তাদেরকে জনসেবা কেন্দ্রে গিয়ে কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে হয়েছিল।
আপনাদের জানিয়ে রাখি প্রতি চার মাসের ব্যবধানে একাউন্টে টাকা পাঠানো হবে প্রধানমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্পে। ইতিমধ্যেই ২৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই আরো দুই হাজার টাকা তারা পেতে চলেছেন। শেষ কিস্তি পাঠানো হয়েছিল ২৭ জুলাই ২০২৩। তারপর থেকে এখনো পরবর্তী কিস্তির জন্য অপেক্ষা করছেন কৃষকরা। আর কিছুদিনের মধ্যেই এই কিস্তির টাকা পৌঁছে যাবে কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে।