গত ৮ই সেপ্টেম্বর রিয়া চক্রবর্তী তাঁর নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলেন। এরপরেই রিয়াকে গ্রেফতার করে এনসিবি। রিয়ার আগে সৌভিক চক্রবর্তী, স্যামুয়েল মিরান্ডা ও দীপেশকে গ্রেফতার কড়া হয়। কিন্তু সেদিন রিয়া যা যা বলেছিলেন সেই বয়ানের ভিত্তিতেই এনসিবি একের পর এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করে চলেছে। ইতিমধ্যে এনসিবি ৫ জনের নাম প্রকাশ করেছেন রিয়ার জবানের ভিত্তিতে, যার মধ্যে অন্যতম হল সারা আলি খান এবং অন্যজন হলেন মুকেশ ছাব্রা ‘দিল বেচারা’ মুভির ডিরেক্টর। বাকি তিনজন হলেন সুশান্ত ও রিয়ার বান্ধবী। উল্লেখ্য, রিয়া চক্রবর্তী এনসিবি-র জেরায় জানিয়েছেন, “সারা, রকুল প্রীত, সুশান্ত আর আমি মাঝে মধ্য়েই একসঙ্গে বসে মাদকসেবন করতাম।”
এরই মধ্যে, রিয়ার বয়ানের ভিত্তিতে দাদর থেকে হাফ কেজি গাঁজা সহ- ডোইন অ্যান্টনি ফার্নান্দিজকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং গ্রেফতার করা হয় অঙ্কুশ অরেঞ্জাকে। এই অঙ্কুশ হলেন নিষিদ্ধ মাদকের প্রধান হোতা। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এই ড্রাগ পাচার করে।
এখনও পর্যন্ত সুশান্ত মামলার মাদক কেসে এনসিবি সর্বমোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। মাদক পাচারকারী জায়েদ ভিলেট্রা, আবদুল বাসিত পরিহার, কাইজান ইব্রাহিম, করন আরোরা, আব্বাস লাখানি এবং অনুজ কেশওয়ানিকে আগেই হেফাজতে নিয়েছে এনসিবি-র আধিকারিকরা।
গতকাল অর্থাৎ শনিবার সুশান্তের স্কুল ফ্রেন্ড করমজিৎ-কে আটক করে এনসিবি। ইনি কেজে হিসেবেই পরিচিত। এর থেকে এনসিবি গাঁজা ও হ্যাশ উদ্ধার করে। এনসিবির কর্মকর্তাদের মতে, করমজিৎ ওষুধ সিন্ডিকেটের অংশ ছিল। এরপরেই এনসিবি আধিকারিকরা দোয়েন থেকে ডোয়াইন অ্যান্টনি ফার্নান্দিস এবং দুজনকে ৫০০ গ্রাম গাঁজা সহ গ্রেপ্তার করে।














