“তৃণমূলের দরজা দলত্যাগীদের জন্য চিরকালের জন্য বন্ধ”, পুরশুড়ার জনসভা থেকে হুঁশিয়ারি মমতার

আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস দলত্যাগীদের নিয়ে বারংবার অস্বস্তিতে পড়েছে। কিছুদিন আগে থাকতে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর অনেকেই দলবদল করে বিজেপিতে যেতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে…

Avatar

আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস দলত্যাগীদের নিয়ে বারংবার অস্বস্তিতে পড়েছে। কিছুদিন আগে থাকতে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর অনেকেই দলবদল করে বিজেপিতে যেতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে আরো অনেক তৃণমূল নেতা দলের বিরুদ্ধে গলায় সুর তুলছেন। এমত অবস্থায় আজ অর্থাৎ সোমবার পুরশুড়ার জনসভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দর্শকদের প্রতি কড়া বার্তা দিলেন। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “যারা দল থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন তারা কোনোভাবেই আর তৃণমূলে ফিরতে পারবেন না।”

আজ ২৫ জানুয়ারি সোমবার হাওড়ার পুরশুড়ায় তৃণমূল জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করছেন। জনসভাতে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীপক্ষকে নিশানা করে একাধিক ইস্যুতে বক্তৃতা রেখেছেন। এছাড়াও তিনি দলত্যাগী নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “যারা দল থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন তারা কোনোভাবেই তৃণমূলে আসবেন না। তৃণমূল তাদের জন্য দ্বার বন্ধ করে দিয়েছে।” এছাড়াও তিনি এদিন গেরুয়া শিবিরে বেসুরো তৃণমূলীদের যোগদানকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “বিজেপি একটা ওয়াশিং মেশিন। ওখানে অনেক নেতাই টাকা করেছেন। সব কালো টাকা। সেই টাকা ঢাকতে এখন বিজেপিতে চলে যাচ্ছে। অবশ্য তাতে তৃণমূলের কোন ক্ষতি নেই। অনেকেই আবার টিকিট পাবে না এই আশঙ্কায় বিজেপিতে যোগদান করছে।”

এছাড়াও এদিন মুখ্যমন্ত্রী জনসভা থেকে হুংকার দিয়ে বলেছেন, “এতদিন অনেকেই দলে থেকে দলের বিরুদ্ধে অনেক রকম কথা বলছেন। দল যথাযথ সময়ে যথাযথ কাজের ব্যবস্থা নেবে। দল বিরোধী কাজ কোনরকমে বরদাস্ত করা হবে না।” এছাড়াও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন ভবিষ্যতে কাউকে দলে নেয়া হলে অনেক ভাবনা চিন্তা করার পর নেওয়া হবে। আসলে প্রথমে শুভেন্দু অধিকারী তারপর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বৈশালী ডালমিয়ার দল বিরোধী মন্তব্য নির্বাচনের আগে তৃণমূলের গরিমাকে কালিমালিপ্ত করেছে তা বোঝাই যাচ্ছে। তাই হাল ধরতে তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন, দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করলে তৃণমূল আর একদমই বরদাস্ত করবে না।