অন্ধ্রপ্রদেশ :মার্চ মাসের শেষ থেকেই দেশে বেড়েছে করোনার প্রকোপ। তার জেরে বন্ধ ছিলো স্কুল, কলেজ, শপিং মল, দোকান।এমনকি সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি ধর্মস্থান গুলিও। দীর্ঘ লকডাউনের পর জুন মাস থেকে একে একে খুলেছে বেশ কিছু মন্দির। কিন্তু আগের মতন কোনোকিছুই স্বাভাবিক না থাকার কারণে মন্দিরে কমেছে ভক্তদের সমাগম। লকডাউনের জেরে প্রায় ৮০ দিন বন্ধ ছিল তিরুপতি বালাজি মন্দির৷
মন্দির খুলতেই অর্থভাণ্ডারে টান পড়ার ঘটনা সামনে আসায় এবার অন্য পদক্ষেপ নিতে চলছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। আগের তুলনায় ভক্তদের ভিড় কমে যাওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই মন্দিরে অর্থাভাব দেখা দিয়েছে। আর এই সমস্যার হাল বার করতেই এবার ব্যাঙ্কে জমা ১২ হাজার কোটি টাকার উপরে মাসিক সুদ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তিরুমালা তিরুপতি ট্রাস্ট৷ বিশ্বের অন্যতম ধনী মন্দির তিরুপতির অর্থভাণ্ডারে টান পড়ার ঘটনা অবাক করেছে দেশবাসীকে।
কারন এর আগে ঠিক কবে মন্দিরের এরকম খারাপ দিন এসেছিলো তা মনে করতে পারছেন না অনেকেই। তবে করোনা পরিস্থিতিতে যে দেশের আর্থিক অবস্থা কতোটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। ২০২০-২১ সালের হিসেবে গোটা বছরের সুদ বাবদ ৭০৬ কোটি টাকা পাচ্ছে তিরুপতি৷
কিন্তু দেশের এই খারাপ পরিস্থিতে মন্দিরের এই সিদ্ধান্ত নতুন করে আবার কোনো সমস্যা তৈরি করবে কিনা সেই নিয়ে কিছু না বলা গেলেও ট্রাস্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান ওয়াই ভি সুব্ব রেড্ডি জানিয়েছেন , “প্রতি মাসে টাকা জমা করা হবে, সুদ নেওয়া হবে৷ আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অবিলম্বে মন্দিরের নানা খরচ, সেবায়েতদের মাইনে সঠিক সময়ে দিয়ে দিতে পারবো ।সেই ক্ষেত্রে আর নতুন করে কোনো সমস্যা হবেনা”৷