কলকাতা: আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে বিমল গুরুংয়ের কলকাতায় পা রাখা নিয়ে তোলপাড় বঙ্গরাজনীতি। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, মোক্ষম চাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁদের মতে, উত্তরবঙ্গে বিজেপিকে রীতিমতো চেকমেটের মুখে ফেলে দিযেছেন তৃণমূল নেত্রী।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে তৃণমূল-কংগ্রেস। সূত্র বলছে, গুরুংয়ের সঙ্গতকে কাজে লাগিয়েই সেবার পাহাড়-তরাইয়ে জয় নিশ্চিত করে বিজেপি। আর এবার গুরুংয়ের দলবদলে সেই অ্যাজভান্টেজ কার্যত ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। পাহাড়-তরাই মিলিয়ে মোট ১২টি আসনে গুরুংয়ের প্রভাব রয়েছে। গুরুংয়ের প্রত্যাবর্তনে ৭টি আসন কার্যত এখন থেকেই নিশ্চিত করে ফেলেছে রাজ্যের শাসকদল। বাকি ৫টি আসনেও এগিয়ে থাকবে তৃণমূল, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
গতকাল, বুধবার বিমল গুরুং ঘোষণা করেন যে, তিনি এনডিএ ছাড়ছেন। এমনকি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা রাখেননি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কথার খেলাপ করেন না। বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে জোটে লড়াই করবেন। গুরুংয়ের এ হেন বোধোদয়কে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল। তবে এর পেছনে পিকের হাত রয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে দিল্লিতে গোপন বৈঠক করেন প্রশান্ত কিশোর ও বিমল গুরুং। আর তারপরেই গুরুংয়ের দলবদল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।