বিধানসভা নির্বাচন প্রায় আগত। তা ঠিক প্রাক্কালে এবারে সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে জোর দিতে শুরু করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সম্প্রতি বাংলার আইটি সেলের সঙ্গে এক প্রস্থ বৈঠক শেষে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আর এবারে, বিজেপিকে সবদিক থেকে টক্কর দিতে সোশাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে মাঠে নামছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ থেকেই শুরু হয়ে গেলো তার ব্লু প্রিন্ট তৈরির কাজ। এদিন উত্তর কলকাতার একটি প্রেক্ষাগৃহে শুরু হয়ে গেল উত্তর কলকাতার সমস্ত আইটি কর্মীদের প্রশিক্ষণের কাজ। আগামীকাল হবে দক্ষিণ কলকাতায়।
সূত্র অনুসারে, একে একে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ হবে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনের সোশ্যাল মিডিয়াকে অন্যতম বড় হাতিয়ার করে মাঠে নামতে চাইছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রত্যেক রাজনৈতিক নেতাদের নামে রোস্টার তৈরির কাজ।প্রায় প্রতিদিন তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক কর্মসূচির ব্যাপারে মানুষদের অবগত করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে, পশ্চিমবঙ্গে এবং দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান আরো ভালো করতে চাইছে তৃণমূল। এতদিন পর্যন্ত, বিজেপির আইটি সেল অত্যন্ত সক্রিয় ছিল তৃণমূলের প্রত্যেকটি ভুল মানুষের সামনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে। তবে এবার আর, পিছিয়ে থাকবে না শাসক দল।
তৃণমূল কংগ্রেসের একটি অফিশিয়াল ফেসবুক এবং টুইটার পেজ রয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেক তৃণমূল নেতাদের ফেসবুক এবং টুইটার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কিন্তু টুইটার এবং ফেসবুক ব্যবহারে তৃণমূল নেতারা অনেকেই স্বচ্ছন্দ নয়। কয়েকজন এমন আছেন যারা স্বাচ্ছন্দ হলেও তেমন ভাবে নিয়মিত পোস্ট করেন না তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার দিক থেকে কোথাও না কোথাও পিছিয়ে যাচ্ছিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবারে যাতে কোনোভাবেই বিজেপি থেকে পিছিয়ে না পড়তে হয়, সেই জন্য কোমর বেঁধে নামছে তৃণমূল। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রের নামে তৃণমূলের একটি করে পেজ থাকবে। ওই পেজে নিয়মিত পোস্ট করা হবে। সরকারের প্রত্যেকটি উন্নয়নশীল প্রকল্প সেখানে তুলে ধরা হবে প্রত্যেক দিন। দুয়ারে সরকার প্রকল্প, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প সহ সরকারের সমস্ত উন্নয়নমূলক প্রকল্পের যাবতীয় বিবরণ লেখা থাকবে ওই সমস্ত পেজে। তাই কোনভাবেই যাতে বিজেপি শাসক দলকে মাত দিয়ে বেরিয়ে না যায়, সেই উদ্দেশ্যে একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।