গ্রামবাসী মহিলারা শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে গেছেন, অভিযোগ এখানে টয়লেট নেই
কুশিনগর জেলার একটি কাছাকাছি গ্রামে প্রায় আধ ডজন এর বেশি নারীরা তাদের স্বামীর ঘর ত্যাগ করেছেন। এর কারণ হলো এখানে কোনো রকম টয়লেট নেই।
শ্রেয়া চ্যাটার্জি – ২০১৭ সালের ভারতীয় হিন্দি ভাষা চলচ্চিত্রে শ্রী নারায়ন সিংয়ের পরিচালনায় অক্ষয় কুমার, নীরজ পাণ্ডের সহযোগিতায় ‘টয়লেট -এক প্রেম কথা’ একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। সিনেমাটির মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অক্ষয় কুমার এবং ভূমি পেডনেকার। ছবিটির বিষয়বস্তু ছিল গ্রামাঞ্চলে টয়লেট না থাকার জন্য নায়িকার বিবাহের পর নায়কের গ্রামের বাড়িতে এসে ভীষণ অসুবিধা হয়। এই নিয়ে গল্পটি চলতে থাকে। তবে এমন গল্প সত্যি হয়েছে একটি গ্রামে। কুশিনগর জেলার একটি কাছাকাছি গ্রামে প্রায় আধ ডজন এর বেশি নারীরা তাদের স্বামীর ঘর ত্যাগ করেছেন। এর কারণ হলো এখানে কোনো রকম টয়লেট নেই।
কুশিনগর জেলার পাদরাউনা ব্লকের জগদীশপুর গ্রামের ৬ জন নারী তারা তাদের শ্বশুরবাড়ি ত্যাগ করেছেন, এমন কথাই জানানো হয়েছে সেখানকার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের তরফ থেকে। মূলত এই গ্রামটি ভীষন নীচু জায়গায় অবস্থিত। বর্ষাকালে অতি বৃষ্টির সময় এই জায়গাটি একেবারে জলে ভরে যায়। ঠিক এই সময় শৌচালয়হীন বাড়িতে থাকা মহিলাদের জন্য সত্যিই খুব সমস্যাজনক হয়ে ওঠে। তবে প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অনেকগুলি পাবলিক টয়লেট বানানো হয়েছে।
কুশিনগর এর চিফ ডেভেলপমেন্ট অফিসার আনন্দ কুমার জানান, “মহিলারা কেন শ্বশুরবাড়িতে চলে যাচ্ছেন তার কারণ জানা গেছে। যখন ডিস্ট্রিক্ট পঞ্চায়েত রাজ অফিসার গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে আপনার জিজ্ঞাসা করেন, এবং দেখেন সেখানে কোনো ঘরেই টয়লেট নেই।” ডিস্ট্রিক্ট পঞ্চায়েত রাজ অফিসার রাঘবেন্দ্র দ্বিবেদী, গত বুধবার গ্রামে যে সমস্ত শৌচালয় গুলি বানানো হচ্ছে তার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, সমস্ত মহিলারাই বিবাহের দু’বছর পরেই যারা শৌচালয় না থাকার জন্য শ্বশুরবাড়ি ত্যাগ করেছেন। গ্রামবাসীদের কাছে এখন বিয়ে করার প্রধান উপাদান হিসেবে শৌচালয় বড় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষাকালে প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে বাড়ির মহিলাদের পক্ষে বাইরে যাওয়ার সব সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না আর সেই কারণেই তারা তাদের স্বামীর গৃহ ত্যাগ করেছেন।