কৌশিক পোল্ল্যে: হেডফোন বা ইয়ারফোন যে যেই নামের ডেকে থাকি না কেন, এই ইলেকট্রনিক্স বস্তুটি আমাদের নিত্যদিনের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। আজকালকার ব্যস্ত জমানায় ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারই মানুষের জীবনে বিপদ ডেকে আনছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির বিপুল ব্যবহারে কীভাবে মানবদেহের ক্ষতিসাধন হচ্ছে তা বিভিন্ন সময়ে বিশ্লেষন করে দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আবারো এই বিষয় সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ন কেস নজরে পড়ল চিকিৎসকদের।
ঘটনাটি ঘটেছে চীনের বেজিংয়ে। একটি দশ বছরের শিশু সে কিনা সারাদিনের বেশিরভাগ সময়টাই কানে ইয়ারফোন গুঁজে থাকত, তার পরিনতিও ঘটল মারাত্মক। হঠাৎই ছেলেটি তার কানে অসহ্য যন্ত্রনা অনুভব করতে শুরু করে। এরপর তার বাবা মা তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে যে তথ্য বেরিয়ে আসে তা রীতিমতো হাড়হিম করা খবর।
ছোট্ট ওই ছেলেটির কানে বাসা বেঁধেছে ‘ব্ল্যাক ফরেস্ট ফাঙ্গাস’ নামক এক বিষাক্ত ছত্রাক। চিকিৎসকের দাবী, ছেলেটি দীর্ঘক্ষন ইয়ারফোন ব্যবহারের ফলেই এমনটা ঘটেছে। ঘটনার প্রমান দিতে গিয়ে চিকিৎসক এই ক্ষতিকারক ছত্রাকের ছবিও শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, হেডফোনে কানের ছিদ্র বন্ধ থাকায় কানের মধ্যে গরম বাতাসে আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়। আর এই আবহাওয়া ছত্রাক জন্মানোর জন্য উপযুক্ত। চিকিৎসকরা আপাতত ছেলেটিকে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসাধীনে রেখেছেন।
বিশ্ব জুড়ে সমস্ত দেশের চিকিৎসকরাই দীর্ঘক্ষন হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেন। এর ফলে শরীরে অন্যান্য ব্যাধি ও উপসর্গ দেখা দিতে পারে যেমন বমি বমি ভাব, নার্ভের সমস্যা, ভার্টিগো, বধিরতা, অন্যমনস্কতা ইত্যাদি। তাই হেডফোন ব্যবহার করলেও তা সীমিত সময়ের জন্যই করা উচিৎ এর পাশাপাশি কানের ভিতর যাতে কোনোভাবেই আর্দ্রতার সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।