প্রয়াত মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন মাইতি। বেশ কিছুদিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন তিনি। বার্ধক্যজনিত কারণে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন। তাই কিছুদিন আগেই কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তবে হঠাৎই আজ দুপুরে মৃত্যু হয় তার। সেই মুহূর্তে মেদিনীপুরের জনসভায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই বিধায়কের মৃত্যু সংবাদ শুনে তিনি সোজা চলে যান বিধায়কের বাড়িতে। সেখানে তিনি বিধায়কের পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা ব্যক্ত করেন। তার পরিবারকে সমস্ত রকমের সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
মেদনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে বেশ খ্যাতি আছে মৃগেন মাইতির। তিনি মেদিনীপুর কেন্দ্রের দুবারের বিধায়ক ছিলেন। তিনি এক কালে রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন থেকে রাজনীতিতে পদার্পণ করেছিলেন। ২০১১ সালে তৃণমূলের পক্ষে লড়াই করেন তিনি। সেখানেই নির্বাচনে জিতে তিনি বিধায়ক হন। এছাড়াও জেলা তৃণমূল সভাপতি হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। মেদিনীপুর খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তাছাড়া মেদিনীপুর পৌরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। এককথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম ভরসাযোগ্য সহকর্মী ছিলেন মৃগেন মাইতি।
দীর্ঘদিন ধরেই মৃগেন মাইতি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তিনি গত ১ লা ডিসেম্বর অসুস্থ হয়ে তা নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তারপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে রবিবার রাত থেকেই তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়। অবশেষে আজ দুপুরেই ৭৭ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন মৃগেন মাইতি।
আজকে কলেজ মাঠে জনসভা শুরু করার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃগেন মাইতির অসুস্থতার খবর জানিয়ে তার আরোগ্য কামনা করেছিলেন। অবশেষে তিনি খবর পান পৃথিবীতে আর নেই মৃগেন মাইতি। তিনি খবরটা জানতে পেরে সভাস্থল থেকে তড়িঘড়ি চলে যান সিপাই বাজারের বিধায়কের বাড়িতে। সেখানে তিনি গিয়ে তার স্ত্রী সুজাতা মাইতির সঙ্গে দেখা করেন। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “মৃগেনদা আর আমাদের মধ্যে নেই। তাঁর মরদেহ কলকাতা থেকে নিয়ে আসার জন্য ফিরহাদ হাকিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ রাতে তার বাড়িতে মরদেহ পৌঁছাবে।”