‘যে যতই বড় হোক না কেন, শাস্তি আমি দেব’, মাথাভাঙ্গায় গিয়ে হুংকার মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে মাথাভাঙ্গা হাসপাতালে আজ দেখা করতে এসেছিল আনন্দ বর্মনের দাদু ও বাবা
একুশে বিধানসভা নির্বাচন দামামা বেজে গেছে বাংলা। ইতিমধ্যেই বাংলায় চার দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি রয়েছে আরও চার দফা নির্বাচন। এরইমাঝে চতুর্থ দফা নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হওয়ায় রীতিমতো সরগরম হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনৈতিক মহল। তারপরই নির্বাচন কমিশন বিধান দিয়েছিল যে আগামী ৭২ ঘন্টা কোচবিহারে কোন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা যেতে পারবে না। তখনই মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন যে এই সময়সীমা পার হলেই তিনি মাথাভাঙ্গায় পৌঁছে যাবেন। কথা দিয়ে কথা রেখেছেন তিনি। আজ সকাল সকাল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির হয়েছেন মাথাভাঙ্গায়। সেখানে তিনি মৃতদের পরিবারের সাথে দেখা করে তাদের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
আজ কোচবিহার মাথাভাঙ্গা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সকাল সকাল পৌঁছে যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। সেখানে তিনি প্রথমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু ৪ জনের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। তারপর তিনি আনন্দ বর্মনের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেছেন। প্রসঙ্গত, বিজেপি দাবি করে যে আনন্দ বর্মন তাদের কর্মী ছিল। এই ১৮ বছরের যুবককে ভোটের লাইনে দুষ্কৃতীরা গুলি করে মারে। তার দাদু এবং বাবা আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে মাথাভাঙ্গা হাসপাতালে দেখা করে যায়। মমতা সেখান থেকে বলেছেন, “আমি কথা দিচ্ছি আমি নিজে থেকে এই কাণ্ডের তদন্ত করাবো। দোষীদের শাস্তি পাবেই। যে যতই বড় হোক না কেন সে শাস্তি পাবে। আনন্দ বর্মনকে কে খুন করেছে তার তদন্ত করা হবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সারাদিনে ৫ টি জায়গায় জনসভা করবেন। তারমধ্যে ৪ টি জনসভা আছে উত্তরবঙ্গে এবং শেষ জনসভাটি আছে নদীয়ায়। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী ধুপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে চলে যাবেন। তারপর প্রদীপ কুমার বর্মন এর সমর্থনে জলপাইগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে তার দ্বিতীয় জনসভায় আছে। তারপর তিনি দাবগ্রাম ফুলবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রে জনসভা করবেন। তারপর দিনের উত্তরবঙ্গের শেষ জনসভাও হিসেবে দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়িতে যাবেন তিনি। এখানেই শেষ হবে না। তারপর তিনি উত্তরবঙ্গ ছেড়ে নদীয়ার হরিণঘাটা জনসভা করবেন তিনি।