আজকের দিনে যাতায়াতের জন্য দেশের অধিকাংশ মানুষ নির্ভর করে থাকেন ভারতীয় রেলের উপর। দূরপাল্লার ট্রেন হোক কিংবা লোকাল ট্রেন, যাত্রীদের ভিড় দেখলে সহজেই আন্দাজ করা যায় ভারতীয় জনজীবনে রেলের গুরুত্ব কতখানি। আপনি যদি ভারতবর্ষের নাগরিক হন এবং যদি ভ্রমণ পিপাসু হন তবে নিশ্চয়ই আপনি কোন না কোন সময় ভারতীয় রেলে ভ্রমণ করেছেন। তবে ভারতীয় রেলের এমন একাধিক অহেতুক নিয়ম রয়েছে, যা নিশ্চয়ই আপনাকে বিড়ম্বনায় ফেলেছে। আর তার মধ্যে অন্যতম একটি নিয়ম হল টিকিট ক্যানসেলেশন চার্জ।
ভারতীয় রেলে যাত্রা করার জন্য প্রায় দুই মাস আগে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট বুকিং করতে পারেন যাত্রীরা। যাত্রীদের চাহিদার তুলনায় ট্রেনের পরিমাণ অনেক কম হওয়ার কারণে অনেকের নাম অপেক্ষারত লিস্টে থেকে যায়। ফলে নির্দিষ্ট দিনে সিট নিয়ে যাত্রা করতে পারেন না অনেক যাত্রী। এমন সময় যাত্রীরা ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিট ক্যানসেল করতে বাধ্য হন। তবে এই টিকেট ক্যান্সেল করার সময় টিকিটের দামের একটি বড় অংশ ভারতীয় রেলকে প্রদান করতে হয় যাত্রীদের।
আর ভারতীয় রেলের এই অহেতুক নিয়মের উপর সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে প্রশ্ন তোলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ইকরা চৌধুরী। তিনি বলেন, ট্রেনে ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিটের উপরে কেন ক্যানসেলেশন ফি দিতে হয় যাত্রীদের? তিনি প্রশ্ন করেন, সিট না থাকায় রেলের তরফে ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিটগুলি বাতিল করে দিলেও, সেই টিকিটের উপরেও ক্যানসেলেশন ফি নেওয়া হয়। কেন রেলের অহেতুক নিয়মের জন্য টাকা গুনতে হবে যাত্রীদের।
এই প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিটের উপরে রেল ক্লার্কেজ চার্জ নেয়। যা শুধুমাত্র ভারতীয় রেল নয়, আরও নানা ক্ষেত্রে নেওয়া হয়ে থাকে। আর রেলের এই ক্লার্কেজ চার্জের টাকা যাত্রীদের উন্নত পরিষেবা প্রদান এবং রেলের অবকাঠামগত উন্নয়নে খরচ করা হয়।