পৃথিবীর দীর্ঘতম গাড়ি ট্রেনের মতো, নামবে হেলিকপ্টার, খেলতে পারবেন গলফ

আপনারা এখনও পর্যন্ত হয়তো এমন গাড়ি দেখেছেন, যেগুলো হয়তো একেবারে দুষ্প্রাপ্য এবং পুরো দুনিয়ায় নিজের মতো কয়েকটি রয়েছে। তবে আজকে যে গাড়ির ব্যাপারে আপনাদের জানাব সেটা হলো পুরো বিশ্বের সবথেকে লম্বা গাড়ি এবং এটি ইতিমধ্যেই একটি ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তৈরি করে ফেলেছে। এই গাড়িটি এতটাই লম্বা যে এই গাড়িকে ওভারটেক করতে আপনি একেবারে হাঁপিয়ে যাবেন। গাড়িটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য আমেরিকান ড্রিম’ এবং এই গাড়িটি ৩০.৫৪ মিটার দীর্ঘ। এই গাড়িটি দৈর্ঘ্য ১০০ ফুটের থেকেও বেশি এবং সারা দুনিয়ায় এর থেকে দীর্ঘ গাড়ি আর একটাও নেই। ১৯৮৬ সালে প্রথমবার এই গাড়িটি তৈরি করা হয়েছিল এবং এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে বড় গাড়ির তকমা এই গাড়িটি বহন করছে।

আপনাদের জানিয়ে রাখি, ১৯৮৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বারাব্যাঁকিতে এই গাড়িটি কাস্টমাইজ করা হয়েছিল। গাড়ি তৈরি করেছিলেন জে ওহবর্গ নামের একজন কার কাস্টমাইজার। এই গাড়িতে সর্বমোট ২৬টি চাকা আছে এবং এই গাড়িতে সামনে এবং পিছনে দুটি ভি ৮ ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে, যেগুলি অত্যন্ত পাওয়ারফুল। এই গাড়িতে কিছু বদল করে এই গাড়ির দৈর্ঘ্য এই মুহূর্তে ৩০.৫ মিটার করে দেওয়া হয়েছে। আগে এই গাড়ির দৈর্ঘ্য কিছুটা কম ছিল। এই মুহূর্তে এই গাড়িটিকে রিস্টোর করা হয়েছে এবং গিনিস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে এই মুহূর্তে এই গাড়িটি সবচেয়ে দীর্ঘ গাড়ির তকমাধারী হিসেবে রয়েছে। এই গাড়িটিকে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটেও দেখা যাবে।

ইবে ওয়েবসাইট থেকে একজন ডিজাইনার এই গাড়িটি কিনেছেন এবং তিনি নিজেই এই গাড়ি ডিজাইন করেছেন। এই গাড়িটি ডিজাইন করতে তার খরচ হয়েছে মোটামুটি ২ কোটি টাকা এবং এই গাড়ি তৈরি করতে তার সময় লেগেছে প্রায় ৩ বছর।

দি আমেরিকান ড্রিম ১৯৭৬ ক্যাডিলাক লিমোজিন টেকনোলজিতে তৈরি হয়েছে এবং এই গাড়িটি দুই দিক থেকেই চালানো সম্ভব। এই গাড়িতে দুদিকেই কন্ট্রোল দেওয়া হয়েছে। এই গাড়িটি আসল মাত্রায় একটি লাক্সারি গাড়ি এবং এই গাড়িটিতে একটি ওয়াটার বেড দেওয়া হয়েছে। ড্রাইভিং বোর্ড, জাকুজি, বাথ টব, মিনি গলফ কোর্স এবং হেলিপ্যাড দেওয়া হয়েছে এই গাড়ির ভিতরে। এই গাড়িতে সর্বমোট ৭৫ জন বসতে পারেন এবং এই গাড়ির কেবিনে রেফ্রিজারেটর, টেলিফোন এবং টেলিভিশন দেওয়া হয়েছে। একাধিক সিনেমায় এই গাড়িটি প্রদর্শিত হয়েছে। তবে এই গাড়িটির প্রধান সমস্যা হলো, এই গাড়িটি অত্যন্ত হাই মেনটেনেন্স এবং এই গাড়িতে পার্কিংয়ের সমস্যা রয়েছে। তাই অনেকেই এই গাড়িটি কিনতে এবং মেন্টেন করতে পছন্দ করেন না।