সম্প্রতি করোনা আবহ আর লকডাউনের মাঝেই বলিউডে বেজে গিয়েছিলবিয়ের সানাই। চলতি বছরের জুনের শুরুর দিকেই সাতপাকে বাঁধা পড়েন বলিউড অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতম আর পরিচালক আদিত্য ধর। ২০১৯ সালে আদিত্য পরিচালিত জাতীয় পুরস্কার জয়ী ‘উরি: দ্য সার্জিকাল স্ট্রাইক’ ছবিটিতে প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করেছিলেন বলিউডের এই নিউ ম্যারেড কাপল। একেবারে চুপিচুপি পরিবারের সদস্য নিয়ে বিয়ে করেন ইয়ামি আর গৌতম। অভিনেত্রীর হোম টাউন হিমাচল প্রদেশে খোলা আকাশের নিচে বসেছিল বিয়ের আসর। করোনার জন্য বিয়েতে ছিল না কোনো জাঁকজমক আর ছিলনা সেলিব্রেটিদের ভিড়।
ইয়ামি আর গৌতমের বিয়ে দেখে অনেকে চমকে যান। কার এই পরিচালক-অভিনেত্রী জুটি নিজেদের সম্পর্কের কথা গোটা দুনিয়ার কাছে ছিল আড়াল।কিন্তু কী কারণে করোনা আবহের মধ্যে গোপনে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করলেন অভিনেত্রী? সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে সেই রহস্য ফাঁস করেছেন গৌতম। অভিনেত্রী জানান, তিনি এবং আদিত্য প্রথমে চেয়েছিলেন বাগদান পর্ব সেরে রাখতে। কিন্তু বাধ্য হয়েই বিয়ে পিঁড়িতে বস্তে হয় এই লাভ বার্ডসদের, নেপথ্যে ছিল অভিনেত্রীর ঠাকুমা।
ইয়ামি জানিয়েছেন, তাঁর ঠাকুমা মনে করেছিলেন শুধু এনগেজমেন্ট ভারতের সংস্কৃতির অঙ্গ নয়। আর সে কারণেই ঠাকুমাকে খুশি করতেই তাঁরা বিয়ে করেন। তিনি আরো বলেন,’ দিদিমার নির্দেশেই মাত্র এক দিনের আয়োজনেই এই বিয়ে করতে বাধ্য হন। ঠাকুমার কথা শুনেই আদিত্য ইয়ামিকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি বিয়ের জন্য রাজী কিনা। এরপর তিনিও হ্যাঁ বলে দেন। তবে বিয়ের পর অভিনেত্রী জানান, তাঁর জীবনে যে খুব পরিবর্তন হয়েছে তা তিনি বলবেন না। এখন তিনি আরও বেশি আনন্দে আছেন। তাই জন্য বিয়ের পর নিজের নামের পাশে আদিত্যর নামও জুড়ে নিয়েছেন ইয়ামি।
বিয়ের পর অভিনেত্রীর নাম ইয়ামি গৌতম ধর। বিয়ের পর কিছুদিন ছুটি কাটিয়ে কাজে ফেরেন। প্রসঙ্গত, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর ‘লস্ট’-ছবির শ্যুটিংয়ের কারণে আপাতত কলকাতায় চলে এসেছেন ইয়ামি। এই সিনেমার শ্যুটিং উত্তর-দক্ষিণ জুড়ে হবে। অগস্টেও এই সিনেমার দ্বিতীয় পর্যায়ের শ্যুটিং শুরু হবে। অন্যদিকে আদিত্যও তাঁর আগামী প্রজেক্ট ‘অশ্বথামা’ নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। এছাড়া অভিনেত্রীকে দেখা যাবে ‘ভূত পুলিশ’।