আবারো শুরু মুকুল অধ্যায়, তবে এবারে বিজেপিতে না, বরং এবারে তৃণমূলে। সম্প্রতি সূত্রের খবর, মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই বিজেপির বেশ কয়েকজন বিধায়ককে এবং সাংসদকে গতকাল রাতেই ফোন করেছেন। স্বভাবতই তাদেরকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার আহ্বান দিয়েছেন মুকুল রায়। সূত্রের খবর গতকাল রাতেই উত্তরবঙ্গের একজন সাংসদ এবং ১০ জন বিজেপি বিধায়ক কে ফোন করেছেন মুকুল রায়।
সাংসদ উত্তরবঙ্গের হলেও যে ১০ জন বিধায়ক কে মুকুল রায় ফোন করেছেন তাদের মধ্যে একজন রয়েছেন কোচবিহারের, একজন জলপাইগুড়ি, একজন দক্ষিণ দিনাজপুরে, একজন নদীয়া জেলার, আরেকজন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার, একজন হুগলি জেলার এবং দুইজন পুরুলিয়া জেলার। ইতিমধ্যেই এই বিধায়কদের মুকুল রায় ফোন করেছেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর। তবে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে অন্য জায়গায়। এদের মধ্যে যাদের যাদের কাছে ফোন গেছে তারা কিন্তু সকলে বিজেপির কাছে গিয়ে নালিশ জানিয়েছেন তেমনটা কিন্তু নয়।
যেমনটা খবর পাওয়া যাচ্ছে সেই অনুযায়ী, আপাতত জলপাইগুড়ি জেলায় যে বিধায়ক এর কাছে মুকুল রায়ের ফোন গীয়েছে তিনি দলকে এই বিষয়ে সম্পূর্ণটা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন মুকুল রায় থেকে ফোন করে দল ছেড়ে তৃণমূলে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও, তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আরো অনেকের কাছেই এই ধরনের ফোন হয়তো গেছে। তবে, বিজেপি অভিযোগ জানিয়েছে, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুকুল রায় আবারো তার পুরনো দল ভাঙার খেলা শুরু করেছেন। এইভাবে তিনি বিরোধী দল বিজেপিকে আরও বড় ধাক্কা দিতে চাইছেন বলে অভিযোগ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের। তবে বিজেপির কাছে আপাতত চারজন বিধায়কের ফোন এসে গেছে যে মুকুল রায় তাদেরকে ফোন করেছেন।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৬ জন বিধায়ক এবং উত্তরবঙ্গের সাংসদের ফোন ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আসেনি। এই পরিস্থিতিতে, বিজেপি নেতৃত্বের কাছে মুকুল রায়ের এই নতুন স্ট্র্যাটেজি নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে সামনে এসেছে। তারা মনে করছেন মুকুল রায় এইভাবে বিজেপি নেতৃত্বকে বাংলা থেকে একেবারে খতম করে দিতে চাইছেন। তবে আপাতত পুরুলিয়া, হুগলি এবং জলপাইগুড়ি জেলার যে চারজন বিধায়ক নেতৃত্বকে ফোন করে জানিয়েছেন তাদের নিয়ে বঙ্গ বিজেপির তেমন একটা মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু তাদের চিন্তা হলো মূলত বাকি ৭ জনকে নিয়ে। বাকিটা সময় বলবে, মুকুল রায় দল ভাঙ্গাতে সক্ষম হলেন নাকি বাকিরা বিজেপিতেই রয়ে গেলেন?