গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পর বারবার শাসক দলের বিরুদ্ধে, ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের বিরুদ্ধে, এমনকি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার জনসভা থেকে এই আক্রমণের পালটা উত্তর দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এইদিন তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন,”এক বাপের ব্যাটা হলে ডায়মন্ড হারবার দখল করে দেখাক।” দাঁতনের সভা থেকে উত্তর ছুঁড়ে দিয়েছেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
দল পরিবর্তনের পরই একুশের নির্বাচনকে টার্গেট করে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বেশ কয়েকটি র্যালি করেছেন তিনি। করেছেন কয়েকটি সভাও। বারবার নিশানা করেছেন তিনি শাসকদলকে। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন তিনি, আগামী বিধানসভায় এক নম্বর হতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। দ্বিতীয় স্থান পাবেন মুখ্যমন্ত্রী। পালটা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন,”বাকি ৪১ টা বাদ, ক্ষমতা থাকলে শুধু তার এলাকা দখল করে দেখাক তারা। এইদিন দাঁতনের সভা থেকে কার্যত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার বক্তব্য, ডায়মন্ড হারবারে অর্থাৎ তৃণমূল সাংসদের গড়ে সভা করবেন। হুঙ্কার দিয়ে বলেন,”তৃণমূলকে উপরে ফেলতে হবে একেবারে।”
এইদিন হেস্টিংসে সাংসদ সুনীল মণ্ডলের গাড়িতে হামলার বিষয়ও তুলে ধরে শাসক শিবিরকে তুলোধোনা করেন শুভেন্দু। তার বক্তব্য,”গতকাল আমরা হেস্টিংসে গিয়েছিলাম। সেখানে জেহাদিদের মতো একদল সুনীল মণ্ডলের গাড়ি ভাঙচুর করে। আমি ঢোকার সময় কিছু করেনি। কিছু করার সাহস পায়নি। বের হচ্ছিলাম যখন, তখন পিছন থেকে আওয়াজ দেয়। ওসব আমাকে করে কোনও লাভই নেই।” এইদিনের সভা থেকে রাজ্যের বেকারত্ব প্রসঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। আবারও অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্প নিজের নামে চালানোর চেষ্টা করছে বাংলা। বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কেন্দ্রের সমস্ত কাজ। যার জেরে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ জনতাকে।