Business Idea: চাকরি ছেড়ে দিয়ে শুরু করুন এই ব্যবসা, প্রতিমাসে আয় হবে ১৫ লক্ষ টাকা থেকেও বেশি
আপনিও যদি ব্যবসা করতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে এই আদা চাষের ব্যবসা হল আপনার জন্য সবথেকে ভালো ব্যবসা
চাকরি থেকে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সকলেই কিন্তু ব্যবসার প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছেন কারণ চাকরি করে খুব একটা বেশি টাকা রোজগার করা যায় না। তবে যদি আপনার ব্যবসা ভালো চলে তাহলে কিন্তু আপনার বেশ ভালো টাকা রোজগার হতে পারে। তাই আজকাল মানুষ ব্যবসার দিকে বেশি ঝুঁকতে শুরু করেছেন। তার সাথে সাথেই সরকারও আবার ব্যবসা করার জন্য অনেক সাহায্য করতে শুরু করেছে। আপনিও যদি কৃষি ব্যবসা দিয়ে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনার জন্য আজ আমরা নিয়ে এসেছি একটা অসাধারণ আইডিয়া। এই আইডিয়াটি হল আদা চাষের। এই চাষ করে কিন্তু আপনি খুব কম খরচের মধ্যে মোটা টাকা রোজগার করতে পারবেন।
আপনারা সকলেই জানেন ভারত হলো একটি কৃষি প্রধান দেশ এবং এখনো ভারতের প্রায় ৫৮ শতাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন কৃষিকাজ করেই। বর্তমানে অনেক শিক্ষিত মানুষেরাও এখন চাষাবাদ করে লাখ টাকা উপার্জন করার পরিকল্পনা করছেন। এখন কৃষি কাজ করার জন্য সরকারের তরফ থেকেও বিভিন্ন ধরনের সাহায্য এবং সহযোগিতা করা হচ্ছে। বর্তমানে আদার চাষ করে আপনি মোটা টাকা আয় করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আদার চাষ করে আপনি রোজগার করতে পারেন খুবই সহজে।
বিভিন্ন ধরনের মসলা ওষুধ এবং প্রসাধনী দ্রব্যে এই আধা নামক জিনিসটির ব্যবহার রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই এই ধরনের জিনিস এই আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সবজি চা এবং আচারে এই আদার ব্যবহার হয়ে থাকে। এজন্য সব সময় বাজারে আদার একটা আলাদা চাহিদা রয়েছে। বছরের প্রায় প্রতি সময় আদার চাহিদা থাকে এবং এই আদা চাষ করার জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন ধরনের সাহায্য করা হয়ে থাকে।
আদার চাষ করার জন্য গরম এবং আদ্রতা যুক্ত জায়গার প্রয়োজন হয় এবং আদার চাষ সাধারণত বর্ষার জলের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। খালি জমি ছাড়াও অন্যান্য ফসলযুক্ত জমিতে আদার চাষ করা সম্ভব হয়ে থাকে। আদা চাষ করার জন্য কম করে হলেও আপনাকে এক হেক্টর জমির প্রয়োজন হয় এবং দুই থেকে তিন কুইন্টাল বীজের প্রয়োজন হয়। আপনি যদি আদা চাষ করার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে মনে রাখবেন যে জমিতে জল জমে সেই জমিতে আদা চাষ করতে পারবেন না। আদা চাষ করার সময় আরো একটা জিনিস মনে রাখবেন, এদের বীজের মধ্যেকার দূরত্ব ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার হওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া গাছের দূরত্ব ২৫ সেন্টিমিটার হওয়াটা প্রয়োজন। আদার বীজ মাটির চার থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার গভীরে বপন করতে হবে। বীজ বপন করে তার উপর হালকা মাটি অথবা গোবর দিয়ে ঢেকে দিতে হবে সেই জায়গাটা।
আদা ফসল হিসেবে তৈরি হবার জন্য সর্বমোট আট থেকে নয় মাস পর্যন্ত সময় লাগবে। এক হেক্টর জমিতে আদার চাষ করলে ১৫০ থেকে ২০০ কুইন্টাল আদা তৈরি হতে পারে। এভাবে যদি এক হেক্টর জমিতে আপনি আদা চাষ করেন তাহলে ৭৮ লক্ষ টাকা খরচ হবে। তবে খরচের তুলনায় লাভের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। বাজারে যদি এই সময় আপনি আধা বিক্রি করতে চান তাহলে এই আদা বিক্রি হয় প্রতি কিলোগ্রাম ৮০ টাকায়। কোন দিকে যদি আপনি পাইকারি হিসেবে বিক্রি করতে চান তাহলে ৬০ টাকা হিসেবে বিক্রি করা যায় এই আদা। অর্থাৎ যদি এক কিলো ৬০ টাকা হিসেবে আপনি বিক্রি করতে পারেন, তাহলে এক হেক্টরে ২৫ লক্ষ টাকা খুব সহজেই আপনার আয় হয়ে যাবে। আদা চাষের সমস্ত খরচ বাদ দিলেও এক হেক্টর জমি থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আপনারা আয় করতে পারবেন।