গতকাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচে ক্রিকেট ইতিহাসে আরও একটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে ভারতীয় দল। ২০২১ সালে পাকিস্তানের পর এবার চলতি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটে হেরেছে ভারতীয় দল। যেখানে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পূর্বে ভারতীয় দলকে অন্যতম সেরা ফেভারিট দল হিসেবে দেখছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। সেখানে ভারতীয় দলের এমন ব্যর্থ পারফরমেন্স রীতিমতো হতাশায় ফেলেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। যেন ইংল্যান্ডের কাছে গতকাল আত্মসমর্পণ করেছে বিরাট কোহলিরা।
গতকাল প্রথমে ব্যাটিং করে ভারতীয় দল ৬ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সামনে ১৬৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে সক্ষম হয়। সেমিফাইনালের মত হাই ভোল্টেজ ম্যাচে যেটি একটি দলকে পরাজিত করার জন্য যথেষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বলে মনে করছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। তবে ইংল্যান্ড যখন ব্যাটিং করতে নামে তখন সমস্ত সমীকরণ পাল্টে দেন ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটিতে ব্যাটিং করতে আসা অ্যালেক্স হেলস এবং জজ বাটলার। দুজনেই ৮০ ঊর্ধ্ব ইনিংস খেলে একপ্রকার একতরফা ভাবে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে জয় এনে দেন।
তবে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হতাশা জনক পারফরমেন্স করে নিজের ক্যারিয়ার ধ্বংসের মুখে এনেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিক। দীর্ঘ ৩ বছরেরও বেশি সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন কার্তিক। আইপিএলে রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোরে জার্সিতে বিধ্বংসী পারফরম্যান্স করে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। সেরা ফিনিশার হিসেবে ডাক পান বিশ্বকাপ খেলার মঞ্চে। তবে সেখানে একপ্রকার ব্যাট হাতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। যার ফলশ্রুতিতে আগামী দিনে ভারতীয় দলে তিনি সুযোগ পাবেন না বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
এই পর্যায়ে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় জার্সিতে ৪টি ম্যাচে মাঠে নামেন দীনেশ কার্তিক। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ এই টুর্নামেন্টে নিজের ছাপ রাখতে পারেননি তিনি। দীনেশ কার্তিক ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৩ ইনিংসে ৪.৬৬ গড়ে মাত্র ১৪ রান করেন। বিশ্বকাপে চরম ভাবে ব্যর্থ হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে আগামীতে তার দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্রিকেট প্রেমিরা।