বর্তমানের কর্মব্যস্ত প্রজন্মের কাছে আলাদাভাবে নিয়ম মেনে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় নেই। তবে নিয়ম না করে হলেও কিছুটা যত্ন নিতেই হয়। তা নাহলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। আজকালকার যুগে পিগমেন্টেশনের সমস্যা অন্যতম। সম্প্রতি সেই সমস্যার সমাধান নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই নিবন্ধে।
অতিরিক্ত ধুলোবালি, অনিয়মিত ও অপুষ্টিকর খাওয়া-দাওয়া করা চেহারায় পিগমেন্টেশনের অন্যতম কারণ। যদি চেহারায় এই পিগমেন্টেশনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে, তা সকলের সামনে ঐ নির্দিষ্ট ব্যক্তি কিংবা মহিলার সাহসের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে। অর্থাৎ অভাব দেখা দিতে পারে কনফিডেন্সেরও। বর্তমানের কর্মব্যস্ত জীবনে পিগমেন্টেশনের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে অবলম্বন করা যেতে পারে এই কয়েকটি রাস্তা।
সমাধান:
১) কাঁচা দুধ পিগমেন্টেশনের সমস্যা সমাধানের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। একটি বাটিতে অল্প পরিমাণে কাঁচা দুধ নিয়ে তার সাথে পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে নিয়ে সেটি মুখে লাগিয়ে নিতে হবে। কিছুক্ষণ সেটি রেখে দিয়ে, মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
২) এক্ষেত্রে টমেটোর রসও খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। টমেটো কেটে তার রস করে নিয়ে কিংবা এক টুকরো টমেটো কেটে সেটি ত্বকের উপর সরাসরি লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এটি সপ্তাহে যদি ২ থেকে ৩ দিন করা যায় তাহলে তফাৎ চোখে পরবে নিজেরই।
৩) পিগমেন্টেশন কমানোর আরও একটি অন্যতম উপায় চন্দন। চন্দন বেটে নিয়ে তার মধ্যে অল্প পরিমাণে গোলাপ জল মিশিয়ে সেটি চেহারায় লাগিয়ে রাখতে হবে বেশ কিছুক্ষণ। এরপর চেহারায় লাগানো সেই চন্দন ও গোলাপ জলের প্রলেপ শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
৪) এক্ষেত্রে আপেল স্লাইডার ভিনিগারও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এটি কখনোই সরাসরি চেহারায় লাগানো উচিৎ নয়। সাধারণত একটি পাত্রে জলের মধ্যে দু’চামচ এই ধরনের ভিনিগার মিশিয়ে সেটি ত্বকে লাগিয়ে নিতে হয়। কিছুক্ষণ পরে পরিষ্কার জল দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বারের বেশি এই প্রলেপ মুখে লাগানো উচিৎ নয়।