বর্তমানের কর্মব্যস্ত জীবনে মানুষের হাতে সময় খুব কম। এক্ষেত্রে নিজের যত্ন নেওয়া সবসময় সম্ভব হয় না সাধারণের পক্ষে। আর এর মাঝেই ত্বক ও চুলের হাজারটা সমস্যা নিয়ে চলতে হয় অনেককেই। তার মূল কারণ অনিয়ন্ত্রিত – অনিয়মিত জীবনযাপন ও দূষণ। যার কারণবশত বয়সের আগেই বয়সের ছাপ পড়তে পারে চোখে-মুখে। তাছাড়াও আরও একটি জিনিসের অভাবে বয়সের আগে বুড়িয়ে যেতে পারেন যেকোনো মানুষ। সম্প্রতি সেই প্রসঙ্গেই আলোচনা করা হল।
শরীরে হিলোরনিক অ্যাসিডের অভাবে বয়সের ছাপ পড়তে পারে ত্বকে। এটি একটি ন্যাচারাল অ্যাসিড যার অভাবে ত্বক কুঁচকে যাওয়া যেতে শুরু করে চলে যেতে পারে ত্বকের টানটান ভাবোও। নরম হয়ে যেতে পারে চামরাও। এম শ্রদ্ধার বক্তব্য থেকেই এই প্রসঙ্গে জানা যায়। তিনি এমডি, ডিএনবি, পিএইচডি।
এম শ্রদ্ধার বক্তব্য থেকেই জানা গিয়েছে, হিলোরনিক অ্যাসিড একটি পিচ্ছিল ও আঠালো জাতীয় পদার্থ যা মানব শরীরের মধ্যেই পাওয়া যায়। আর এই অ্যাসিডের অভাবেই হাইড্রেশন কমে যায় শরীরে, যার ফলে বয়সের আগেই বুড়িয়ে যায় মানুষ। তবে এই অভাব পূরণও করা যায়। প্রোফাইলো পদ্ধতির মাধ্যমেই এই অ্যাসিডের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হয়। উল্লেখ্য, এই অ্যাসিডের অভাব হলে সবার আগে প্রভআব পরে চোখের তলায়, ঘাড়, পেট, হাত-পায়ের ত্বকে।
তবে প্রোফাইলো পদ্ধতির মাধ্যমে এই অ্যাসিড শরীরে ইনজেক্ট করে দিলে তা অভাব অনুযায়ী সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেই অভাব পূরণ করে দেয়। এটি শরীরে কোলাজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং ত্বকের এপিডার্মিসকে নরম রাখে, যা ত্বকের স্বাভাবিক আদ্রতা বজায় রাখে। পাশাপাশি শরীরের ফ্ল্যাশ পয়েন্টগুলিকে করে তোলে শক্তিশালী। যদি বয়সের আগেই বার্ধক্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে উল্লেখিত অ্যাসিডের ঘাটতি মেটানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।