বর্তমানের কর্মব্যস্ত জীবনে মানুষের হাতে সময় খুব কম। এক্ষেত্রে নিজের যত্ন নেওয়া সবসময় সম্ভব হয় না সাধারণের পক্ষে। আর এর মাঝেই ত্বকের হাজারটা সমস্যা নিয়ে চলতে হয় অনেককেই। তার মূল কারণ অনিয়ন্ত্রিত – অনিয়মিত জীবনযাপন ও দূষণ। যার কারণবশত বয়সের আগেই বয়সের ছাপ পড়তে পারে চোখে-মুখে। তবে যদি কিউই ফলের তৈরি ফেসপ্যাক সপ্তাহের অন্তত দুই থেকে তিনবার মুখে লাগানো যায় তাহলে, ফল পাওয়া যাবে হাতেনাতে। সম্প্রতি এই নিবন্ধের সূত্র ধরেই সেই প্রসঙ্গে তথ্য প্রদান করা হবে।
কিউইতে উপস্থিত উপকারী উপাদান:
• এতে ভিটামিন সি ও ভিটামিন কের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বর্তমান।
• এতে অ্যান্টি এজিং উপাদানও বর্তমান থাকে।
• এতে এক্সফোলিয়েটিং প্রপার্টিও বর্তমান ( ত্বককে কোমল রাখে )।
কিউই ফেসপ্যাক বানাতে প্রয়োজনীয় উপাদান:
১) ১টা কিউই
২) ৭-৮ টা আঙুর
৩) ১ টেবিল চামচ দই
ফেসপ্যাক বানানোর পদ্ধতি:
• প্রথমে একটি পাত্রে খোসা ছাড়িয়ে একটি গোটা কিউই নিয়ে নিতে হবে।
• এরপর ওর মধ্যে নিয়ে নেওয়া সাত থেকে আটটি আঙুর ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
• আঙুর ও কিউই একসাথে ভালো করে মেশানো হয়ে গেলে রেখে দেওয়া এক চামচ দই দিয়ে আবারো ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে পুরো মিশ্রণটি।
কিউই ফেসপ্যাক ত্বকে প্রয়োগ করার পদ্ধতি:
• সমস্ত উপাদান ভালো করে মেশানো হয়ে যাওয়ার পর সেটি কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে তারপরেই ত্বকে প্রয়োগ করতে হবে।
• এই ফেসপ্যাক ত্বকে আলতো হাতে লাগিয়ে নিতে হবে।
• ফেসপ্যাক লাগানোর পর অন্তত কুড়ি থেকে ২৫ মিনিট সেটি শুকানোর জন্য ছেড়ে দিতে হবে।
• এরপর নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হলে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
সপ্তাহে অন্তত এক থেকে দুবার এই ফেসপ্যাক যদি ত্বকে প্রয়োগ করা যায় তাহলে, ত্বকে স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় থাকবে। ত্বক আগের থেকে হবে আরো উজ্জ্বল। বজায় থাকবে ত্বকের স্বাভাবিক কোমলতাও।