অত্যধিক গরমের কারণে নির্দিষ্ট সময়ের আগে গ্রীষ্মকালীন ছুটির ঘোষণা করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। নির্দেশিকা অনুযায়ী ২ মে থেকে গ্রীষ্মের ছুটি পড়ার কথা ছিল। তবে অনেক মহলে প্রশ্ন ওঠে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের তাপপ্রবাহ চলছে এখন থেকেই। এই আবহে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে নিয়ে এসে লাভ কিছু আছে কি? এই পরিস্থিতিতে এবার সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত রাজ্যের প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, আগামী চারদিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রত্যেকটি জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সরকারি স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ৬ দিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করবে সরকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কলকাতায় শেষবার বৃষ্টি হয়েছিল কত ১ এপ্রিল এবং দক্ষিণবঙ্গের বাকি অংশ শেষবারের মতো বৃষ্টি দেখেছিল ২ এপ্রিল। এরপর থেকে বিগত দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র দাবদাহে পুড়েছে বাংলা। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যের দক্ষিণ প্রান্তে। উত্তরবঙ্গের তাপপ্রবাহের পরিচিতি তৈরি না হলেও সেখানে গরম যথেষ্ট। স্বাভাবিকের উপরে তাপমাত্রা রয়েছে সেখানেও। বৃষ্টি বলতে গেলে কোথাও হচ্ছে না। এই আবহাওয়া এবার গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে গোটা রাজ্যে। সাধারণত ২৪ মে থেকে রাজ্যের স্কুল গুলিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হলেও, এইবারে এই ছুটি পড়বে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে অর্থাৎ ২ মে থেকে।
অন্যদিকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসার জন্য রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। এই আবহাওয়া গরমের ছুটি এগিয়ে আসতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে আইসিএসই বোর্ড। তবে এই বোর্ডের স্কুলগুলিতে কবে থেকে গরমের ছুটি পড়বে তা এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। অপরদিকে সরকারি স্কুলের ছুটি কবে পর্যন্ত চলবে তা এখনো পর্যন্ত জানানো হয়নি সরকারের তরফ থেকে। প্রাথমিকভাবে স্কুলের যে ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয় তাতে ২৪ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটি থাকার কথা। এরই মধ্যে আগামী সপ্তাহে স্কুল ছুটির ঘোষণা করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তারপরে যদি গরমের পরিমাণ এরকমই থাকে তাহলে হয়তো, এই ছুটি আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সরকার। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত এই সপ্তাহের পরেই জানাবে রাজ্য সরকার।