Adrit-Kaushambi: অনস্ক্রিন দিদিয়ার সাথে প্রেম জমে ক্ষীর সিদ্ধার্থের, ঝলক দেখে আবারো নিশ্চত দর্শকমহলের একাংশ
জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাই’। সেই শুরুর সময় থেকে এখনো পর্যন্ত দর্শকদের পছন্দের তালিকার শুরুতেই রয়েছে মিঠাইরানির নাম। মাঝে বেশ কিছুটা সময় পর্দায় সিদ্ধার্থের থেকে মিঠাইয়ের দূরত্ব বেড়ে যাওয়ায় অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন দর্শকরা, কমেছিল টিআরপি। তবে বর্তমানে আবারো ধীরে ধীরে বাড়ছে টিআরপি। কাছাকাছি আসছে সিদ্ধার্থ-মিঠাই। তবে এর মাঝেই নতুন চমক দিয়েছে পরিচালক। আবারো মিঠাই ও সিদ্ধার্থের মাঝে আগমন ঘটেছে এক নতুন চরিত্রের। ধারাবাহিকে আয়েন্দ্রীর আগমন একেবারেই সোজা ভাবে নিচ্ছেন না দর্শকরাও। অবশ্য সেকথা স্পষ্ট তাদের প্রতিক্রিয়াতেই।
তবে এই মুহূর্তে মিডিয়ার পাতায় মিঠাই-সিদ্ধার্থ নয়, নিজেদের অফস্ক্রিন রসায়নের সূত্র ধরেই আবারো চর্চায় রয়েছে পর্দার দিদিয়া-সিড। গত বেশ কিছুসময় ধরে মিডিয়ার পাতায় নিজেদের প্রেম নিয়ে চর্চিত আদৃত ও কৌশাম্বি। সাম্প্রতিক এক ভাইরাল হওয়া ঝলক দেখে আবারো নেটজনতার একাংশ নিশ্চিত তাদের সম্পর্ক নিয়ে। তবে এখনো পর্যন্ত প্রকাশ্যে নিজের সম্পর্কের কথা কিংবা প্রেমিকার নাম উল্লেখ করেননি আদৃত।
খুব সম্প্রতি ‘টেলিটক’ নামের এক ইউটিউব চ্যানেলে খোলামেলা আড্ডায় বসেছিল মিঠাইয়ের হল্লাপার্টি। এদিন আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন পর্দার মিঠাই, তোর্সা, সোম, রাজীব দার পাশাপাশি সিদ্ধার্থ ও নন্দাও। তবে সকলের নজর এড়িয়ে পিছনের ডাইনিং টেবিলে আলাদা হয়েই বসেছিলেন পর্দার দিদিয়া ও সিড। এদিন তারা নিজেদের মধ্যেই কথা বলতে মশগুল হয়ে ছিলেন। আর সাম্প্রতিক এই আড্ডার ভিডিওটি দেখে যেন সেই দিকেই নজর আটকেছে বেশিরভাগ দর্শকদের। এদিন নন্দাকে হাতে স্ক্রিপ্টের কাগজ ও ফোন নিয়ে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল। আর পরক্ষণেই অভিনেত্রীর হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে কিছু একটা খুঁজতে দেখা গিয়েছিল অভিনেতাকে। আর এই গোটা দৃশ্যটি পিছনের দিকে ঘটলেও সেখানেই নজর আটকেছে বেশিরভাগের। আর এখন সেই দৃশ্যকে ঘিরেই আবারো চর্চায় আদৃত-কৌশাম্বি।
এই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই নেটজনতার একাংশ কটাক্ষের তীরে বিদ্ধ করেছেন আদৃত-কৌশাম্বিকে। কারোর মতে, তারা পুরোপুরি রাসলীলা চালাচ্ছেন। আবার কেউ বেশি ঢং না করে সত্যিটা সকলের সামনে স্বীকার করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আবার এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, তারা সত্যিকারের প্রেমিক-প্রেমিকা হয়ে গেছেন। কারণ অভিনেত্রীর ফোন নিয়ন্ত্রণ করছেন আদৃত। আর এই পরিস্থিতিতে ভক্তমহলের একাংশের মত, কারোর ব্যক্তিগত জীবনে নাক না গলানোই বুদ্ধিমানের কাজ।
শোনা যাচ্ছে, মে মাসের শুরুতেই কৌশাম্বিকে নিয়ে ডেটে গিয়েছিল পর্দার সিড। আর তার উপর ভিত্তি করেই নেটনাগরিকদের একাংশ তাদের ট্রোল করা শুরু করেন। একাধিক কটাক্ষজনক মন্তব্যের তীরে বিদ্ধও করেছিলেন কৌশাম্বিকে। আর এরপরেই প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানিয়ে গলা তুলেছিলেন পর্দার সিদ্ধার্থ। অভিনেতা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, বিগত ছয়বছর ধরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন তিনি। সমস্ত খারাপ পরিস্থিতিতেও স্ট্রাগল করে যাচ্ছেন শুধুমাত্র নিজের শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য। শেষে তিনি নিজের ছয়বছরের অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছেন, কোনো অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে প্রযোজনা সংস্থা নয় তৈরি করে দর্শকরাই। অতএব, দর্শকরা চাইলে তারা থাকবেন নয়তো নয়। কারোর কটাক্ষজনক মন্তব্য এক্ষেত্রে কার্যকরী হবে না।