বার্ধক্যকে সকলেই ভয় পায়। যৌবন সকলের কাছে খুব প্রিয়। ঠিক এই কারণেই বয়স ৩০ পার করলেই নানান ধরনের অ্যান্টি এজিং ক্রিম ব্যবহারের মাত্রা বেড়ে যায়। কেউ কেউ স্কিন কেয়ার ডাক্তারের সাহায্য নেন, স্কিনের ট্রিটমেন্ট করেন। তবে এসবের জন্য মোটা টাকা ব্যয় হয়, এর থেকে বরং ঘরোয়া পদ্ধতিতে যদি আগে থেকেই সাহায্য নেওয়া যায় তাহলে বেশি বয়স পর্যন্ত ত্বক মসৃণ, উজ্জ্বল ও টানটান থাকে। চলুন দেখি মুখের ত্বকের বলিরেখা কম করতে কোন উপাদান কার্যকরী।
প্রথমত, অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোজকার ডায়েট চার্টে জল ও ফল থাকা খুবই জরুরী। তেল জাতীয় খাবার ত্বক মলিন করে দেয়। ত্বককে উজ্জীবিত রাখতে চাইলে সকাল দুপুর বিকেল ডায়েট চার্টে থাকতে হবে প্লেন জল, ডাবের জল, টক দই, যেকোনো ফল এবং অবশ্যই ভিটামিন সি যুক্ত ফল যেমন লেবু আর কলা রাখতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, নিয়মিত যোগাসন, সাঁতার বা অন্যান্য যেকোনো ধরনের এক্সারসাইজ খুব উপকারী। এছাড়া, সপ্তাহে একদিন বডি ম্যাসাজ নারকেল তেল দিয়ে।
তৃতীয়ত, অ্যালোভেরা জুস খেতে পারেন কিংবা অ্যালোভেরা জেল রোজ মুখে মাখতে পারেন। পাশাপাশি নারকেল তেল মালিশ করে স্নান করলে, ত্বকের লাবণ্য বহুদিন পর্যন্ত অটুট থাকে।
চতুর্থ, ওমেগা ৩ (Omega 3) ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সামুদ্রিক মাছ, তৈলাক্ত মাছ, তিসির বীজ, শণ বীজ, চিয়া সীড, আখরোট এসবে ওমেগা ৩ থাকে। খাদ্যতালিকায় ওমেগা ৩ থাকলে ত্বক পুনরুজ্জীবিত হবে। আপনাকে জানতে হবে যে ত্বকে বার্ধক্যের সবচেয়ে বড় কারণ হল আপনার শরীরে কোলাজেন কমতে শুরু করে। এই কারণে ওমেগা ৩ খুবই উপকারী। খাদ্য তালিকায় ওমেগা ৩ থাকলে সেটি কোলাজেনকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে ও আপনার ত্বক হয়ে উঠতে পারে মসৃণ, বলিরেখাহীন।