বর্তমানের কর্মব্যস্ত জীবনে কাজের ফাঁকে আলাদা করে নিজের কিংবা ত্বকের যত্ন নেওয়া সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে আজকের দূষণে ভরা পরিবেশে ত্বকের যত্ন নেওয়া ভীষণভাবে প্রয়োজনীয়। সময়ের অভাবে ত্বকের যত্ন নিতে চিকিৎসক কিংবা কোন বিউটি পার্লারের দ্বারস্থ হন বেশিরভাগই। তবে সেক্ষেত্রে একাধিক কেমিক্যালযুক্ত উপাদান ত্বকের উপর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর যার ফলস্বরূপ নানা সমস্যা, আবারো দেখা দেয় খুব অল্পসময়ের মধ্যেই।
অনেক সময়ে অনিয়মিত খাওয়া দাওয়া, দূষিত পরিবেশ, পর্যাপ্ত জল না খাওয়া ত্বকের সমস্যার কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে মুখে প্রকট হয় ব্রণর সমস্যা। তবে ত্বকের একাধিক সমস্যা দূর করতে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ভীষণভাবে কার্যকরী। এক্ষেত্রে যদি এই ক্যাপসুল সঠিকভাবে ব্যবহার করা না যায় তবে অন্যধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভিটামিন-ই ক্যাপসুল যেকোনো ওষুধের দোকানে খুব অল্প দামেই পাওয়া যায়। এই ক্যাপসুলের মধ্যে থাকা জেলি উপাদান যদি রাতে শোয়ার আগে ত্বকের উপযুক্ত ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিয়ে ব্রণর দাগগুলির জায়গায় ভালোভাবে লাগানো যায়, তবে ধীরে ধীরে সেই দাগ মিটতে থাকে। পাশাপাশি ব্রণর সমস্যাও নির্মূল হয়। এই ক্যাপসুলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বর্তমান, যা ব্রণর সমস্যা কমাতে ও ত্বকের মৃত কোষগুলিকে সারিয়ে তুলতে সহায়তা করে থাকে।
এই ক্যাপসুল চোখের তলার কালি দূর করতেও ভীষণভাবে কার্যকরী। যদি চোখের তলায় সারা রাত এই ক্যাপসুলের জেল লাগিয়ে রাখা যায়, তবে তা ভীষণভাবে উপকার দেয়। এই জেল লাগানোর পর হালকা করে ম্যাসেজ করে নেওয়াও জরুরী।
ভিটামিন-ই ক্যাপসুল মিশ্রিত দুটি ফেসপ্যাক-
১) একটি পাত্রে দুই চামচ টক দই, কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস ও একটি ভিটামিন-ই ক্যাপসুল থেকে জেল বার করে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই মিশ্রণ গোটা মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে ১০ মিনিটের জন্য ছেড়ে দিতে হবে। পরে পরিষ্কার জল দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে যদি দু’বার এই মিশ্রণ ত্বকের উপর প্রয়োগ করা যায়, তবে ত্বকের কালো দাগ ছোপ দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক পুষ্টি পায় ও ত্বকের উজ্জ্বলতাও আগের থেকে বৃদ্ধি পায়।
২) ত্বকের শুষ্কতা ও টানটানভাব দূর করতেও ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ভীষণভাবে কার্যকরী। একটি পাত্রে এক চামচ মধু, দু চামচ দুধ ও দুটি ভিটামিন-ই ক্যাপসুলের জেল নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর ১৫ মিনিট সেই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। পরে পরিষ্কার জল দিয়েই ধুয়ে নিতে হবে মুখ। সপ্তাহে এই মিশ্রণ ত্বকের উপর দুই থেকে তিনবার প্রয়োগ করা যায়। এই মিশ্রণ ত্বকের বহু সমস্যাকে নির্মূল করে। এই মিশ্রণ ব্যবহার করলেই তফাৎ নজরে আসবে।