বর্তমানের কর্মব্যস্ত জীবনে কাজের ফাঁকে আলাদা করে নিজের ত্বকের যত্ন নেওয়া সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে উৎসবের মরসুমে সকলেই নিজেকে সুন্দর করে তুলতে আগ্রহী হন। তবে আজকের দূষণে ভরা পরিবেশে ত্বকের যত্ন নেওয়া ভীষণভাবে প্রয়োজনীয়। সময়ের অভাবে ত্বকের যত্ন নিতে চিকিৎসক কিংবা কোন বিউটি পার্লারের দ্বারস্থ হন বেশিরভাগই। তবে সেক্ষেত্রে একাধিক কেমিক্যালযুক্ত উপাদান ত্বকের উপর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর যার ফলস্বরূপ নানা সমস্যা দেখা দেয় খুব অল্পসময়ের মধ্যেই।
অনেক সময়ে অনিয়মিত খাওয়া দাওয়া, দূষিত পরিবেশ, পর্যাপ্ত জল না খাওয়া ত্বকের সমস্যার কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে মুখে প্রকট হয় ব্রণর সমস্যা। তবে ত্বকের একাধিক সমস্যা দূর করতে মধু সবথেকে বেশি কার্যকরী। এই নিবন্ধের সূত্র ধরে বেশ কয়েকটি ফেসপ্যাক তৈরির পদ্ধতি জানানো হবে, যা এই উৎসবের মরসুমে ত্বককে আরো বেশি করে তুলবে উজ্জ্বল।
১) মধু ও কফি- প্রথমে একটি পাত্রে সমপরিমাণ মধু ও কফি নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। এরপর এটি গোটা মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে অন্ততপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময় শেষে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে মুখ। সপ্তাহে অন্তত একবার যদি এই মিশ্রণ ত্বকে প্রয়োগ করা যায়, তবে তফাৎ নজরে আসবে।
২) দুই ও হলুদ- একটি পাত্রে দু চামচ টক দই ও আধা চামচ হলুদ নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে এরপর সেই মিশ্রণ গোটা মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে অন্ততপক্ষে ১৫ মিনিটের জন্য ছেড়ে দিতে হবে। এরপর মুখ ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ত্বকের উপযুক্ত একটি ভালো ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। এটি ত্বকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে থাকে।
৩) বেসন ও দই- ত্বকের উপর পড়ে থাকা অতিরিক্ত ট্যান ও ময়লা পরিষ্কার করতে এই প্রলেপ ভীষণভাবে কার্যকরী। একটি পাত্রে দু চামচ বেসন ও পরিমাণমতো দই ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে একটি ঘন প্রলেপ তৈরি করতে হবে এরপর সেই প্রলেপ গোটা মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে অন্ততপক্ষে ১৫ মিনিটের জন্য ছেড়ে দিতে হবে। এরপর ভালোভাবে পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলেই হবে।
৪) মধু ও কলা- প্রথমে একটি পাত্রে একটি কলা, মধু ও কাঁচা দুধ নিয়ে ভালোভাবে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই মিশ্রণ গোটা মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখতে হবে ১৫ মিনিট। এরপর ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে মুখ। এটি ত্বককে আরো অনেক বেশি উজ্জ্বল করে তোলে। উল্লেখ্য, কলাতে থাকে ভিটামিন, দুধে থাকে ক্লিনজিং প্রোটিন, মধুতে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির বৈশিষ্ট্য।