নোভেল করোনা ভাইরাস রীতিমত থাবা বসিয়েছে গোটা বিশ্বে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে তা গোটা বিশ্বে ছেয়ে গিয়েছে। গোটা বিশ্বে সংকটজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে চীনের থেকে মৃত্যু বেড়ে গিয়েছে ইতালিতে। গোটা বিশ্বে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে নোভেল করোনা ভাইরাসে। যার মধ্যে ১৪ হাজারেরও বেশি মৃত্যু ঘটেছে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘বিশ্বব্যাপী মহামারী ‘ ঘোষণা করেছে।
ভারগে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ জন। আক্রান্ত ৪২৫ জন। এদিন দুপুরে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়ে দমদম নিবাসী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই তৎপর প্রশাসন। ২৩ মার্চ বিকেল ৫ টা থেকে আগামী ২৭ মার্চ রাত ১২ টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ লক ডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ার ফলে হাসপাতাল গুলিতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণা আগেই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
কলকাতা মেডিকেল কলেজের সুপার স্পেশালিটি গোটা বিল্ডিংটাই করোনা মোকাবিলার জন্য ব্যবহার করা হবে। মেডিকেল কলেজের সমস্ত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের হাসপাতালেই থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপাতত হাসপাতালে থেকেই নিজ জীবন বাজি রেখেই লড়াই করবেন তারা। কলকাতা মেডিকেল কলেজের সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ে ৩০০ টি শয্যা রয়েছে। করোনা কেন্দ্র হিসেবে এই হাসপাতালটিকে গড়ে তোলা হবে। ৩০০০ টি শয্যা চালুর সিদ্ধান্ত রয়েছে। বিল্ডিংটির উপরের দুটি ফ্লোর করোনায় আক্রান্ত রোগীর এবং নীচের দুটি ফ্লোর করোনা সন্দেহভাজনদের জন্য ব্যবস্থা করা হবে।
এছাড়া বাঙুরে রয়েছে ৩০ টি শয্যার ব্যবস্থা, আরও ১২০ টি বাড়ানোর প্রস্তুতি চলছে। বেলেঘাটা আইডিতে ২২ টি থেকে বেড়ে করা হচ্ছে ১০০ টি। আরজিকরে ১০ টি। NRS অর্থোপেডিক সিবি বিল্ডিংয়ে ৮ শয্যার ওয়ার্ড প্রস্তুত তবে বাড়বে আরও ৬ টি। সিএমসি পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে ২৬ শয্যার ওয়ার্ড। ন্যাশনাল চক্ষু বিল্ডিংয়ের থার্ড ফ্লোরে ৬ টি শয্যার ওয়ার্ড। এছাড়া সাগর দত্ত হাসপাতালে ৭টি বেডের আইসোলেশন। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থার রদবদল হবে বলে জানা গিয়েছে।