মেমারি : বিশ্বজুড়ে করোনার দাপটে লকডাউন চলছে ভারতে। বিজ্ঞানীরা ব্যস্ত প্রতিষেধক তেরীর সন্ধানে। পিছিয়ে গেছে পরীক্ষা, এই সময়কে কাজে লাগিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে ১৫ বছর বয়সী এক ছাত্রীর আবিষ্কার গবেষণার এক নতুন দরজা উন্মুক্ত করেছে। মেমারির একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী দিগন্তিকা বসু করোনা প্রতিরোধে জন্য তৈরী করা বিশেষ ধরনের মাস্ক তাক লাগিয়ে দিয়েছে সকলকে।
পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দির স্কুলের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী দিগন্তিকা বোস জানিয়েছে লকডাউন ঘোষণা করার পরে জানা যায় পরীক্ষা স্থগিত, সেই সময় থেকে তার মাথায় এই ব্যাপারটা আসে এবং এর জন্য সাত আটদিন বিশেষ পড়াশুনা করে আবিষ্কার করে বিশেষ মাস্ক। তার কথায় সবাই যে সাধারণ মাস্ক পড়ে ঘুরছে তাতে ভাইরাস আটকায় না। এই বিশেষ মাস্ক দুটি অংশে বিভক্ত,যার প্রথম অংশে রয়েছে একটি একমুখী ভাল্ব যা প্রশ্বাস গ্রহনের সময় বাতাসে ভাইরাস ধ্বংস করে এবং বিশুদ্ধ বাতাস মাস্কের মধ্যে প্রবেশ করে।
মাস্কটির দ্বিতীয় অংশে রয়েছে দুটি আধার। মাস্কটি পড়ে প্রশ্বাস ছাড়ার সময় বা হাঁচি কাশির সময় ভাইরাস ধ্বংস হয়ে যায়। ভাইরাস আটকাতে দিগন্তিকার তৈরি “Pure air provider and virus destroyer mask” যা পড়লে প্রশ্বাসে বাইরের ধূলিকণা বা ভাইরাস প্রবেশের সম্ভাবনা নেই।যা উপকারী কোভিড-১৯ পজেটিভদের জন্যে। দিগন্তিকার এই আবিষ্কার পৌঁছে গেছে
ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রকের বিশেষ পদক্ষেপ “কোভিড-১৯ সলিউশন চ্যালেঞ্জ” ছাড়াও ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধিভুক্ত ন্যশনাল ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীদের কাছে।
তবে এটাই প্রথম নয় এর আগেও বহুবার দিগন্তিকার প্রতিভা এবং উদ্ভাবনী শক্তি উঠে এসেছে তার আবিষ্কারের মাধ্যমে।দিগন্তিকার আবিষ্কারের মধ্যে আছে এমন এক চশমা যা আলোর প্রতিফলনকে কাজে লাগিয়ে তৈরী যার সাহায্যে সোজাভাবেই ৩১৫ ডিগ্রী দেখা যায় চারপাশের দৃশ্য।
তার আবিষ্কারের মধ্যে আছে এমন এক নতুন ধরনের জুতো যার সাহায্যে হিংস্র পশুর আক্রমণ থেকে বাঁচতে খুব সহজেই মানুষ উঁচু স্থানে উঠে যেতে পারবে। ড্রিল মেশিনের থেকে নির্গত হওয়া ধুলোবালির ফলে শ্বাসকষ্ট বা ফুসফুস জনিত রোগের উপদ্রব থেকে বাঁচাতে বিজ্ঞানী অবন্তিকার আবিষ্কার ডাস্ট কালেক্টর। এই আবিষ্কারের জন্য “২০১৭ এপিজে আবদুল কালাম ইগনাইট “পুরস্কার পায় সে।
২০১৮ তে সে এ পি জে আবদুল কালাম ইগনাইট’ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। স্মার্ট সার্ভিকেল কলার বেলট আবিষ্কারের জন্য।
এটি হল স্পন্ডেলাইসিস সংক্রান্ত এক স্মার্ট বেল্ট বানিয়েছে যা একটানা পরলে ব্যথা দূরীভূত হবে এবং অস্বস্তিও হবে না।