শ্রেয়া চ্যাটার্জি – মূলত উত্তর ভারতে সন্তোষী পূজার প্রচলন আছে ঘরে ঘরে। এই দেবীর পুজো করলে আপনার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হতে পারে। শুক্রবার সাধারণত সন্তোষী মাতার পুজো করা হয়। বাঘের পিঠে অধিষ্ঠাত্রী দেবী দুর্গার অবতার রূপে। ষাটের দশকের শুরু থেকে সন্তোষী মায়ের পুজোর প্রচলন প্রথম শুরু হয়েছিল। পৌরাণিক মতে, তিনি গণেশের কন্যা। গণেশের দুই ছেলে শুভ আর লাভের ইচ্ছা হলো বোনের হাতে রাখি পড়াবে। কিন্তু গণেশের কোন কন্যা ছিল না। পুত্রদের মনোবাসনা পূর্ণ করতেই গণেশ কন্যার সৃষ্টি করলেন। যার নাম সন্তোষী মা। যেহেতু দাদাদের মনের ইচ্ছা পূর্ণ করলেন তাই তার নাম হলো সন্তোষী।
সন্তোষী মায়ের পুজো করতে সন্তোষী মায়ের কোন মূর্তি বা ছবি ব্রত কথার বই, ঘট পানপাতা, ফুল, কর্পূর ধূপকাঠি, প্রদীপ, ঘি, হলুদ সিঁদুর ঘটে রাখার জন্য কোন ফল যেমন নারকেল বা কলা ইত্যাদি রাখতে হয়। ১৬ সপ্তাহ বা চার মাস পরপর পুজো করতে হয় এই সন্তোষী মাতার। পুজো শেষ হলে ১৬ জন বালক কে খাওয়াতে হয় নিজের পরিবারের থাকলে তো ঠিক আছে নাহলে কোন পরিচিত ১৬ জন বালক কে ডেকে প্রসাদ খাওয়ালে তবেই সন্তোষী মার ব্রত সমাপ্ত হয়।
শুক্রবার সকালে স্নান সেরে পরিষ্কার কাপড়ে দেবীর সামনে ঘট প্রতিষ্ঠা করতে হয়। ঘটের মধ্যে গঙ্গাজল রাখতে হয়। প্রসাদ হিসাবে রাখতে পারেন ছোলা, গুড়, কলা। সন্তোষী মা পুজো করার আগে প্রথমে বাবা গণেশ এবং দুই মা ঋদ্ধি ও সিদ্ধির পুজো করতে হয়। সন্তোষী মা ব্রতকথা শেষে শংখ এবং উলুধ্বনি দিন। এবং প্রণাম করে বলুন ‘জয় সন্তোষী মা’।