শ্রেয়া চ্যাটার্জি- হিন্দু ধর্মের ইতিহাসে শিব অনেক পুরনো দেবতা। হরপ্পা মহেঞ্জোদারো খননকার্যের পরে একটি সীলমোহর পাওয়া যায় যেখানে ‘আদি শিবের’ ছবি ছিল। এই শিবের চারপাশে রয়েছে বন্য জীবজন্তু একে দেখে স্যার জন মার্শাল বলেছেন এটি হলেন ‘পশুপতি শিব’। তবে অনেক ঐতিহাসিকের অন্য মত পোষণ করেন। শিব সাধারণত গৃহস্থালির দেবতাকে কেন্দ্র করে পশু থাকেনা।
শিবের রূপ – শিব ত্রিনয়ন, মাথায় অর্ধচন্দ্রধারী সাপ, নরক করোটির মালা, সর্বাঙ্গে বিভূতি মন্ডিত ও ত্রিশূল, ডমরু ধারিণী।
ত্রিনয়ন – শিবের ত্রিনয়ন। এই নয়ন দিয়ে তিনি কাম কে ভস্ম করেছিলেন।
বিভূতি – শিব তার সারা অঙ্গে বিভূতি অর্থাৎ ভস্ম মাখেন। বৌদ্ধ ধর্মের পালি গ্রন্থ তার শ্মশান সাধনার কথা উল্লেখ আছে। তিনি হলেন শ্মশানবাসী।
জটাজুটো- শিবের মাথায় রয়েছে জটা। এই কারণে শিবের আরেক নাম কপর্দী।
অর্ধচন্দ্র – শিব তার মাথায় অর্ধচন্দ্র ধারণ করেছেন। এইজন্য তার নাম চন্দ্রশেখর।
নীলকন্ঠ – অসুরের সাথে দেবতাদের যুদ্ধে অমৃত পানের জন্য দেবতারা সমুদ্রমন্থন করেছিলেন। দেবতাগন কে রক্ষার জন্য শিব বিষাক্ত বিষ পান করে নীলকন্ঠ হয়েছিলেন।
বাঘের চামড়া – শিব ব্যাঘ্রচর্ম পরিহিত। প্রাচীনকালে ব্রহ্মর্ষি দের রক্ষার জন্য এই বাঘের চামড়া ব্যবহৃত হতো। তাই শিবের অপর নাম কৃত্তিবাস।
সর্প- শিবের গলায় পেঁচানো থাকে সাপ। তাই সাপ হল শিবের গুরু বলরাম।
ত্রিশূল ও ডমরু – শিবের অস্ত্র হলো ত্রিশূল, হাতে ডমরু নামক একরকম বাদ্যযন্ত্র আছে।
নন্দি – নন্দি নামের এক পৌরাণিক ষাঁড় হলেন শিবের বাহন। অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, শেষ হলেন ‘গবাদি পশুদের’ দেবতা।