জীবনযাপন

প্রাচীনকালে একটি শিশুর জন্ম কিভাবে হত? জেনে নিন

Advertisement

জন্মনিয়ন্ত্রণ করার জন্য বর্তমান যুগে অনেকরকমের উপায় আছে। কিন্তু প্রাচীন কালে এমন কিছু অদ্ভুত নিয়ম ছিল যেগুলো জানলে আপনি শিউরে উঠবেন। কি ছিল সেই নিয়ন গুলো, জেনে নিন।

চাঁদের দোষঃ প্রাচীন গ্রিনল্যান্ডে মনে করা হতো একজন নারীর গর্ভধারণের জন্যে দায়ী চাঁদ। তাই চাঁদের আলো যাতে পেটে না লাগে সেই জন্যে তারা তাকাতো না চাঁদের দিকে। এমনকি ঘুমাতে যাওয়ার আগে তারা নিজেদের পেটে থুতু লাগিয়ে নিতো, যাতে চাঁদের আলোর প্রভাবে গর্ভধারণ না হয়ে যায়।

নেকড়ের মূত্রঃ মধ্যযুগে এক অন্ধবিশ্বাস ছিল যে, নেকড়ের মূত্রের উপর যদি মহিলারা যৌন মিলন করার আগে মূত্র ত্যাগ করে আসে তাহলে গর্ভধারণের আর সুযোগ থাকেনা। কিংবা ঘুরে আসতে হত কোন গর্ভবতী নেকড়ের মূত্রত্যাগের স্থান থেকে।

লাইসলঃ ১৯০০ সালের শুরুর দিকে গর্ভধারণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমেরিকায় লাইসল নামে একটি পণ্য বেরোয়। যেটি নারীদেহের ভিতরে গিয়ে কিছুটা জ্বালিয়ে দিয়ে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করবে। বলাই বাহুল্য এর ফলে অনেকেই আহত তো হয়ই, এমনকি কয়েকজন মারাও যায়।

জলপাই তেলঃ প্রাচীন গ্রীসে জলপাই তেল আর সিডারের তেল একসাথে মিশিয়ে ব্যাবহার করতো পুরুষেরা। তাতে করে নাকি তাদের শুক্রাণু দূর্বল হয়ে গর্ভধারণের সুযোগ কমে যেত।

মধুঃ প্রাচীন মিশরে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে মধু ব্যবহার করতো মহিলারা। এটা মনে করা হতো যে, মধুর প্রলেপ থাকলে পুরুষের শুক্রাণু নারীর ভিতরে আর প্রবেশ করতে পারবে না, জন্মও হবে না কোন শিশুর।

Related Articles

Back to top button