অবশেষে লাদাখের সব ফ্রন্ট থেকে সেনা সরাতে রাজি হলো চীন। গত মঙ্গলবার ভারত এবং চীন দুই দেশের সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তাদের মধ্যে চতুর্থ দফার বৈঠক ছিল। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় চীনা সেনার তরফে। বৈঠকে আলোচনা হয় কিভাবে লাদাখে আগামীদিনে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা অপসারণ করা হবে সেই নিয়ে। বৈঠকে আগামী দিনে সেনা সরানোর রোড ম্যাপও তৈরি করা হয়।
এক সেনা অফিসারের সূত্রে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সকাল এগারোটা থেকে বৈঠক শুরু হয় দুই দেশের সেনা কর্তাদের মধ্যে। বৈঠক চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। বৈঠকে যোগ দেন দুই দেশের উচ্চপদস্থ সেনা কর্তারা। এখন দেখার বৈঠকের ফলাফল চীন সেনা কিভাবে কার্যকর করে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পূর্ব লাদাখের ১৫৯৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রীতিমতো আগ্রাসী ভূমিকা নিচ্ছিলো চীন সেনা। ভারতীয় ওই ভূখন্ডকে নিজেদের বলে দাবি করছিল তারা। তবে এই মুহূর্তে সেখানে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে।
পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে চীনা সেনা সরলেও উত্তেজনা এখনো পুরোপুরি বজায় আছে। প্যাংগং লেক এলাকার কিছুটা অংশ এখনো চীন সেনার দখলে। প্যাংগং লেক এলাকার উত্তর পাড়ে চার থেকে আট নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্ট পর্যন্ত এখনো ভারতীয় সেনার নো এন্ট্রি করে রেখেছে চীনা সেনা। এছাড়াও আরও দু একটি জায়গায় দুই দেশের সেনা একদম মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। এই সমস্ত জায়গা থেকে কবে সেনা সরায় দুই দেশ সেটাই দেখার।
এই আলোচনায় গালওয়ান এলাকার বিভিন্ন পেট্রোলিং পয়েন্টে শান্তি বজায় রাখা নিয়েও আলোচনা হয়েছে মঙ্গলবারের বৈঠকে। গালওয়ান উপত্যকার ১৪ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট, গোগরা ও হট স্প্রিং এলাকায় সেনা সরিয়েছে দুই দেশই। ভারত সেনা সরিয়েছে এক কিলোমিটার, অন্যদিকে চীন সেনা সরিয়েছে দুই কিলোমিটার।