চাকরির প্রতিশ্রুতি মানে কি। প্রতিশ্রুতি শব্দটাই হলো ভাওতাবাজি। বিজেপির সমস্ত প্রতিশ্রুতি হল প্রতারণা। আগেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আবারো প্রতিশ্রুতি দেওয়া শুরু করেছে।জলপাইগুড়ির সভা থেকে এদিন চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ড নিয়ে এরকম ভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বললেন, বিজেপি দাঙ্গা এবং কুৎসার নতুন ধর্ম তৈরি করার চেষ্টা করছে। এখানে সমস্ত লোক বড় বড় চোর। বিজেপির থেকে বড় চোর আর কেউ নেই। বিজেপির নেতারা বরং চম্বলের বড় বড় ডাকাত।” তার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী নিজের কাজের খতিয়ান তুলে ধরে পাহাড়বাসীর কাছে জিজ্ঞেস করলেন, কি অপরাধ করেছিলাম যে লোকসভায় একটা সিট পেলাম না।
লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ থেকে খালি হাতে ফিরে এসেছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গে একটাও জিততে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। সবকটি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। এবারে বিধানসভা ভোটে কি হবে সেই নিয়ে বেশ চাপে রয়েছে তৃণমূল। সেই কারণে এবারে তিন দিনের সফরে উত্তরবঙ্গে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। উত্তরবঙ্গের প্রথম সভা ছিল তার জলপাইগুড়িতে। সেখানে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন,”আমরা কাজ করেছি। সে চোর এ চোর করিনি। জলপাইগুড়িতে প্রচুর কাজ হয়েছে। ৯৫% সরকারি পরিষেবা চালু হয়েছে। উত্তর কন্যা, স্টেট গেস্টহাউস সব তৈরি করেছি। কদিন পরে বেঙ্গল সাফারি শুরু হবে। জলপাইগুড়ির মেডিকেল কলেজের কাজ শুরু হবে খুব তাড়াতাড়ি। কোচবিহার মেখলিগঞ্জ হলদিবাড়ি সেতুর কাজ শেষ। কোচবিহারে ভাইয়াও সেতু তৈরি হচ্ছে।”
পাশাপাশি শুধুমাত্র উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরা নয়, বিজেপিকে এক হাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এদিন সভা থেকে। তিনি বলেছেন, “বিজেপি বলেছিল, লোকসভা ভোটে জিতল সাতটি চা বাগান খুলে দেব। একটাও খুলেনি। ১৫ লক্ষ-টাকা কতজন পেয়েছেন? গোর্খাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি প্রত্যেকবার দেওয়া হয়। কটা গোর্খাল্যান্ড দেবেন। পাহাড়ের মানুষ বিজেপিকে বুঝতে পেরেছেন। তাদেরকে ধন্যবাদ।”
পাশাপাশি তিনি এদিন আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল এমআইএম কে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই রাজ্যে বিজেপি কে উৎখাত করা আসল লক্ষ্য। পুরোনো নতুন সকলে মিলে কাজ করুন।